‘দুয়ারে নর্দমা’ প্রকল্প চালু রাজ্যে! জল যন্ত্রণা নিয়ে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

‘দুয়ারে নর্দমা’ প্রকল্প চালু রাজ্যে! জল যন্ত্রণা নিয়ে চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

fc966c3902c5da27829376539769994e

কলকাতা: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ অঞ্চল এখন জলমগ্ন। কোথাও কোথাও হাঁটু জল তো কোথাও কোথাও বুক জল। সবমিলিয়ে কার্যত নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের। আর ঠিক এই জল যন্ত্রণার পরিস্থিতি নিয়েই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে সাধারন মানুষকে কিছু প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চরম আক্রমণ করে তিনি খোঁচা দিয়ে বললেন, রাজ্যে এখন ‘দুয়ারে নর্দমা’ প্রকল্প চলছে! 

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কলকাতাকে আদর্শ নগরী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শহর এবং দক্ষিণবঙ্গের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস দলকে ভরসা করে ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় এনেছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছে যে কোথায় ভুল হয়েছে। এখন দক্ষিণবঙ্গের এবং কলকাতার মানুষ বুঝতে পারবেন যে তারা কাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায়, কলকাতাকে লন্ডন বানানোর কথা ছিল, আর এখন এখানে দুয়ারে নর্দমা প্রকল্প চালু হয়েছে! এর আগে ইয়াসের সময় বলা হচ্ছিল দুয়ারে গঙ্গা, আর এখন রাজ্যবাসীর দুয়ারে দুয়ারে নর্দমা পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে চরম কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই এই প্রকল্প শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার দাবি যে শহর এবং দক্ষিণবঙ্গের মানুষ রাজ্যের শাসক দলকে ভোট দিয়েই চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এবার তারা তাদের ভুল বুঝতে পারছে। 

আরও পড়ুন- শুনানি হল না, পিছিয়ে গেল রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা

বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে শহর এবং শহরতলীতে। নিম্নচাপের কারণে লাগাতার বৃষ্টি হবার ফলে একাধিক জায়গায় জল জমে গেছে এবং সাধারণ মানুষের দুর্দশা শুরু হয়েছে। বেহালার একাধিক অঞ্চল থেকে শুরু করে দমদম পাতিপুকুর এলাকা, সব জায়গায় প্রায় বুক জল জমে গেছে। হাওড়ার একাধিক এলাকাতেও একই অবস্থা। একে জল জমার সমস্যা অন্যদিকে কারেন্টের সমস্যা, সবমিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে বিভীষিকার। আর এই আবহেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *