কলকাতা: আজ বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক খাতে মোটা অঙ্ক বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বাজেটের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তবে রাজ্যের বাজেট নিয়ে মোটেই খুশি নন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, এই বাজেট দিশাহীন।
শুভেন্দুর কথায়, এই বাজেট একদম দিশাহীন বাজেট। ৪ মাসের বাজেট বই পাতা দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, পূর্নাজ্ঞ বাজেটের এবার হাল দেখুন, ছোট হয়ে গেছে। আসলে ৪ মাসের ওই বাজেটটা ছিল ভোটের ইস্তাহার। আর এটা বাস্তব। যে বাজেটে কিচ্ছু নেই। আগের ৪ মাসের বাজেটের পর একদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে বাজেট করেছেন। আর আজ অমিত মিত্র যেহেতু পড়েননি তাই মুখ্যমন্ত্রী পরিষদীয় মন্ত্রীকে সামনে ঠেলে দিয়েছেন পড়তে, খোঁচা দেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, এই বাজেটে ডিএ থেকে শুরু করে কিছুই নেই, পুরো রাজ্যটাই চলছে সিভিক দিয়ে। অন্যদিকে আবার, জল জমা ইস্যুতে রাজ্যকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, বিধানসভায় চারিদিকে জল। তাই তাঁরা প্রেস কর্ণারে যেতে পারেননি।কলকাতার মত বিধানসভাতেও প্রায় এক হাঁটু জল। এতে প্রমাণ হয় কলকাতা লন্ডন হয়নি। খোঁচা শুভেন্দুর।
আরও পড়ুন- মমতা-মলয়ের ‘সুপ্রিম’ স্বস্তি, জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল না কোর্ট
এদিকে, বাজেট প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এদিন বাজেট প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগের অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৭৭ কোটির বাজেট ছিল। ২০২১-২২ সালে তা বেড়ে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা হয়েছে। ২০.৭ শতাংশ বেড়েছে। তিনি জানান, ২০২০-২১ সালে বাংলার জন্য কেন্দ্র প্রায় ৫৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু পাওয়া গিয়েছে ৪৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ১ লক্ষ টাকা। ১৪ হাজার ২২৫ কোটি ৫৪ লক্ষ কোটি টাকা কম পাওয়া গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি কেন্দ্রকে তুলোধনা করে বলেন, ২০১৯-২০ সালেও রাজ্য বরাদ্দের ১১ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়নি এখনও। রাজ্যের টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়াও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এখনও পাওনা বাকি কেন্দ্রের থেকে, বলে দাবি তাঁর।