বারুইপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটের আগে দলবদলের যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে শাসকদলের আকাশে, তার সুযোগকে কোনোমতেই হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। তাই তৃণমূলের দিকে একের পর আক্রমণের তির শানাচ্ছেন গেরুয়া নেতারা। আর পদ্ম শিবিরের সেই আক্রমণের অন্যতম কান্ডারী নিঃসন্দেহে শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বারুইপুরের দলীয় জনসভা থেকে আরও একবার শাসকদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দলের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দুর আক্রমণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ‘ভাইপো’। এদিন তাঁর বিরুদ্ধেই ফের এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া নেতা। ‘ভাইপো’র ব্যক্তিগত সহকারীকে ফোন করেছে ইডি (Enforcement Directorate), এমনটাই দাবি করেছেন শুভেন্দু৷
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলে গোরু পাচারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। কিন্তু তিনি নিখোঁজ। এদিন সেই বিনয় মিশ্রের সন্ধানেই ‘ভাইপো’র সহকারীর কাছে ফোন এসেছে ইডি-র, জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মানেই কয়লা আর গোরুচোর’।
শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের আক্রমণ থেকে রেহাই পান না ‘নেত্রী’ও। ‘‘একজন জয় শ্রী রাম শুনলেই রেগে যাচ্ছেন, আরেকজন তোলাবাজ শুনলেই রাগ করছে’’, বারুইপুরের জনসভা থেকে বলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘ঘুষখোর’ বলে আক্রমণের পাল্টা ‘প্রমাণ’ মঞ্চে তুলে ধরেন শুভেন্দু৷
উল্লেখ্য, ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত’ বলে আগেই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ ফেরার বিনয় মিশ্রকে তিনিই লুকিয়ে রেখেছেন। এদিন কয়লা পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা থাইল্যান্ডে পাঠানোর দাবির সপক্ষে প্রকাশ্য জনসভায় ‘প্রমাণ’ও পেশ করেন তিনি৷ তবে, গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ !