কলকাতা: দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে শুনানী আজ ৩ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও অম্বিকা রায়। এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ জুলাই।
এদিন শুভেন্দু শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, শুনানির কথোপকথনে তিনি যেতে চান না কারণ সেটা আইনের বিষয়। কিন্তু তিনি বলেন, গত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দলবদলের ৫০ টি ঘটনা ঘটেছে। ঠিক যেমন ভুয়ো ভ্যাকসিন ভারতের কোথাও পাওয়া যায় না, এখানে পাওয়া যায়, যেমন মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে শাসকের আইন শুধু এখানেই বলা হয়, একই ভাবে এখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয়নি এতদিনে। সেই কারণেই শুভেন্দু জানান যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর তাদের কোনও আস্থা নেই। এই প্রেক্ষিতেই ইতিমধ্যেই তিনি আইনের ব্যবস্থা নেবেন বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এবার এই ইস্যুতে আদালতে যেতে চাইছে বিজেপি। পরবর্তী শুনানির আগেই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে তারা। যদিও বিজেপি বিধায়ক আরও জানিয়েছেন যে, অধ্যক্ষ তাঁর থেকে আরও নথি চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়ে গুচ্ছ ছবি পোস্ট, গ্রেফতার তরুণী
বিজেপির চিহ্নে ভোটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। যদিও বিধানসভায় তিনি বিজেপির বিধায়ক হিসেবে রয়েছেন। শুভেন্দু প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন যে সকলেই এটা নিজের চোখে দেখেছেন যে মুকুল রায় বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তার ছবি এবং ভিডিও রয়েছে সর্বত্র। অন্যদিকে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়ের নাম উঠে আসায় আরো বেশি দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির।