কলকাতা: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। তার জয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখন সেসব অতীত। বিরোধী দলের নেতা হয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেন, রাজ্যে নরসংহার চলছে! যদিও এর পাল্টা আক্রমণ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি যেখানে জিতেছে সেখানে মানুষের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলের কর্মীদের দ্বারা। সবং থেকে শুরু করে আমডাঙ্গা, ক্যানিং, গোসাবা সব জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের তপশিলি এবং দলিতদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর মন্তব্য, রাজ্যে নরসংহার চলছে। যদিও শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেছেন, রাজ্যের হিংসার ঘটনা সম্পূর্ণরূপে সংবাদমাধ্যমে আসছে না। যেখানে যেখানে হিংসা হচ্ছে সেখানের খবর সামনে আসছে না বলে দাবি করেন তিনি। যদিও রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে লড়াই জারি রাখবে বিজেপি বলে বক্তব্য তাঁর। পাশাপাশি বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখে কাজ করবে তারা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেছেন, রাজ্যে কোথায় গণহত্যা হয়েছে তিনি দেখতেই পেলাম না! মমতার কথায়, গণহত্যা তো শীতলকুচিতে হয়েছিল। আর তো হয়নি। বিজেপির আইটি সেল ও ২০টি দেশে আরএসএস রয়েছে, তারা প্রচার করছে। বাংলায় কিছু হয়নি। শান্ত আছে বাংলা। একটা সরকার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দিল। ন্যূনতম সৌজন্য নেই।