ছক্কা মেরে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি! চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

ছক্কা মেরে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি! চরম কটাক্ষ শুভেন্দুর

e926ee026cdbe225d3ea8109aa8bcc95

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত থাকলেও আপাতত ভবানীপুরে উপ নির্বাচনে লড়ছেন মমতা। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল। প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচারে এসে মমতাকে একের পর এক নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ ভবানীপুরের শেষবেলার নির্বাচনী প্রচারে তিনি মমতাকে কটাক্ষ করে বললেন, নন্দীগ্রামে তিনি ছক্কা মেরেছেন আর একেবারে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাই মমতা এখানে এসেছেন।

আরও পড়ুন- আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি শুরু

শুভেন্দুর বক্তব্য, নন্দীগ্রামে তিনি ছক্কা মেরে ছিলেন আর এবারেও তিনি চাইছেন যাতে ভবানীপুরের মানুষ এই নির্বাচনকেও নন্দীগ্রাম বানান। অর্থাৎ এখানেও যাতে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই আবেদন রাখছেন তিনি। একই সঙ্গে এই উপনির্বাচনের কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ভবানীপুরের বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হননি বা দলবদল করেননি, তাও তিনি পদত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচনে লড়ার। শুভেন্দু বলছেন, করদাতাদের টাকা ব্যয় করে এই নির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে। তাই তাদের উচিত এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৫ কোটি টাকা আদায় করা। কারণ এই নির্বাচন এখন অদরকারি। 

আরও পড়ুন- এসবিআই ক্লার্ক প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুভেন্দু আজ এও জানান, নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু নিজেই হেরে ফিরে এসেছেন। এখন প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল ভবানীপুর জিতলে তিনি অনুরোধ জানাবেন দলকে যাতে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে আনা হয়। এক কথায়, শুভেন্দু অধিকারী প্রিয়াঙ্কার জন্য নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করে ফেলেছেন। বিজেপি বিধায়কের স্পষ্ট কথা, নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেছেন মানে মানুষ তাঁকে পছন্দ করেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলার করোনা পরিস্থিতি সঙ্গীন, মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিতে ব্যস্ত: শুভেন্দু

বাংলার করোনা পরিস্থিতি সঙ্গীন, মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিতে ব্যস্ত: শুভেন্দু

0bb9e908853f2b2a2a7477cfef6a5287

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এখন অতীত। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই প্রথমবার বিজেপির বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজের কাজ হয়তো শুরু করে দিলেন তিনি। রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন তিনি শুধুমাত্র রাজনীতির খেলা খেলছেন!

এদিন টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খুবই খারাপ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির খেলা খেলছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের জয় নিয়ে মত্ত, এদিকে বিরোধী দলকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের উচিত এখনই মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দেওয়ার কারণ বাংলার মানুষ দেখছে। এর পাশাপাশি শুভেন্দু আরো বলেন, এর আগে অনেকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু একটাও বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ তিনি কথা বলার সুযোগ না পেয়ে আক্রমণ করছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ব্যাপার। শুভেন্দুর কথায়, যে সাতজন জেলাশাসক এদিন বৈঠকে কথা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই অবিজেপি শাসিত রাজ্যের জেলাশাসক।

উল্লেখ্য, ৯ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৪ জেলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ৯ টি জেলা ছিল এই বৈঠকের তালিকায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বৈঠকে একটিও কথা বলতে দেওয়া হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীদের পুতুলের মত বসিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নিজে ভাষণ দিয়ে গেছেন, অত্যন্ত ক্যাজুয়াল বৈঠক হয়েছে। এই শুধু এই কেন্দ্র সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন তিনি। মমতা এদিন জানান, প্রধানমন্ত্রী একাধিক রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডাকার পর সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কোন কথা শোনেননি। ‌ একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি সেই কারণে তাঁরা সকলে অপমানিত বোধ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পুতুলের মত শুধু বসে ছিল। কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *