শুভেন্দুর মুখে আবার ‘দুয়ারে নর্দমা’, মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা এবার মোদীকে চিঠি দেবেন বিধায়ক

শুভেন্দুর মুখে আবার ‘দুয়ারে নর্দমা’, মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা এবার মোদীকে চিঠি দেবেন বিধায়ক

fd093d48077793976ee814f1d7826498

কলকাতা: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন যে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলায়। এই প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদার্থ বলেও নিশানা করেছেন তিনি।

শুভেন্দু বক্তব্য, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্য সৃষ্টি হয়েছে কারণ সর্তকতা পাবার পরেও রাজ্য কোন এরকম পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে ডিভিসি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে অভিযোগ করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, একটা সময় বাঁধের জল ছেড়ে দিতে হয় না হলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই বিষয়টা রাজ্য সরকারের অজানা নয়। তা সত্ত্বেও সতর্কতামূলক কোন পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার আর সেই কারণেই জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেই রাজ্যের যন্ত্রণা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘দুয়ারে নর্দমা’ প্রকল্প চলছে রাজ্যে। এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার ইস্যুতে কার্যত সেই বিষয়টি আবার সামনে চলে এলো। 

আরও পড়ুন- টিকা নিয়ে বৈষম্য করছে কেন্দ্র, সীমান্তবর্তী বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক, দাবি মমতার

উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এর আগেও ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একই কারণে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০১৫ সালে চিঠি দিয়ে ডিভিসির জলাধার এবং তাদের ১৮ হাজার চেক ড্যামের সংস্কার করার দাবি জানানো হলেও আজও পর্যন্ত সেই সমস্যার কোন সমাধান করা হয়নি বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন। তিনি এই বন্যা পরিস্থিতিকে man-made বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও দামোদর উপত্যকা কর্তৃপক্ষের দাবি, জল ছাড়ার আগে লিখিত অনুমতি নেওয়া হয় এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্য সরকারের লিখিত অনুমতি নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বাঁধ গুলি জল ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া জল ছেড়েছে ডিভিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *