কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আরও একটি নির্বাচন হতে চলেছে শহরে। ভবানীপুরে হচ্ছে উপনির্বাচন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এখানে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে ‘দায়ী’ করলেন। বললেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ঠিক কী বলতে চাইলেন তিনি?
আরও পড়ুন- মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রেকর্ড অঙ্কে জিতলেও নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছিলেন তিনি। যদিও সেই হার-জিত নিয়ে বিতর্ক এখনও বহাল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জিতেও’ হেরেছিলেন। সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জল আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। তাই আগামী ৬ মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে জিতে আসতে হবে, তাই নির্বাচন কমিশন আগেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে। তবে শুভেন্দুর বক্তব্য, তাঁর জন্যই এখানে নির্বাচন হচ্ছে, কারণ উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা, সেখানে তিনি হেরেছেন। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ভবানীপুর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন মমতা, এখন আবার সেখানেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক প্রশাসন, বেশকিছু পদক্ষেপের নির্দেশ
এদিন আবার খিদিরপুরে জনসভা করে নন্দীগ্রাম সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে কী কী করা হয়েছে তা জানলে সবাই ভয় পেয়ে যাবে। সেই কেন্দ্রের ফল সংক্রান্ত বিষয় এখন আদালতের হাতে রয়েছে বলে বেশি কিছু বলতে চান না। তবে এই প্রসঙ্গে মমতা উল্লেখ করেন যে, এর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ভবানীপুর থেকে জিতেই। তাই এবার যেন সেটাই চেয়েছে ভবানীপুরের মানুষ। তাঁর বক্তব্য, সবই ভাগ্যের খেলা। মুখ্যমন্ত্রী তিনি হবেন তো ভবানীপুর থেকেই। তিনি বলছেন, সবই আল্লার ইচ্ছা, মা দুর্গার, শিব ঠাকুরের ইচ্ছা। তাঁর সারা জীবনের লক্ষ্য মানুষের পাশে থাকা, আর সেটাই তিনি করে যাবেন।