অর্জুন-মুকুলের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উঠতেই নেত্রীকে দোষারোপ শুভেন্দুর!

অর্জুন-মুকুলের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উঠতেই নেত্রীকে দোষারোপ শুভেন্দুর!

কলকাতা: অর্জুন সিং আর তার মধ্যে যে কত মিল, তা বোঝাতে গিয়েছিলেন৷ ঠিক তখনই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের দাপুটে নেতা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করল ‘বেয়াড়া’ সংবাদ মাধ্যম৷ স্বভাবতই বিব্রত শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে মুহূর্তেই নিজে সামলে উঠে পরিস্থিতির জন্য সিপিএম এবং তৃণমূল নেত্রীকে দোষারোপ করলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিক শুভেন্দু অধিকারী৷

হরিণঘাটায় আক্রান্ত দলীয় বিধায়ক অসীম সরকারের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে বারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে যান শুভেন্দু৷ অর্জুন এবং তাঁর পুত্র পবনের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পর বাইরে এসে নিজেদের মিল সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্যের দাপুটে বিরোধী দলনেতা বলছিলেন, ‘‘আমাদের দু’জনের লড়াইটা আদর্শগত৷ আমি যেমন গ্রামস্তরে থেকে সংগ্রাম করে উঠে এসেছ অর্জুন সিংও তেমনই সংগ্রাম এবং লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছেন৷ শাসকদলের সন্ত্রাস, মিথ্যে মামলা, পুলিশি অতচ্যার, ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর আক্রমণ, মেরে ফেলার চক্রান্ত, খুনের ষড়যন্ত্র, কোনওটা থেকে বাদ যাননি অর্জুন সিং৷ আমাদের নাম আলাদা হলেও মত, পথ, লড়াইয়ে সবটা মিলিয়ে দেখবেন আমরা একই স্টাইলে কাজ করি৷ তাছাড়া উনি আমার নেতা, দলের রাজ্য সহ-সভাপতি!’’

এমন সময় সংবাদ মাধ্যমের তরফে উত্থাপন করা হয় মুকুল রায়ের বাড়িতে অর্জুন সিংয়ের যাওয়া থেকে শুরু করে তাঁদের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ৷ স্বভাবে শান্ত দক্ষ রাজনীতিক প্রশ্নবান কিঞ্চিৎ চমকে উঠলেও মেজাজ হারাননি৷ বরং অত্যন্ত কৌশলে পরিস্থিতির জন্য তিরের মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন শাসক সিপিএম এবং বর্তমান শাসক তৃণমূল তথা তৃণমূল নেত্রীর দিকে৷ দাবি করেছেন, ‘‘রাজনীতির সঙ্গে সামাজিকতাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়৷ কে কার বাড়িতে যাবেন, সেটা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়৷ তবু প্রসঙ্গ উঠছে৷ কারণ, বাংলার এই কালচার নোংরা করেছিল সিপিএম৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটার ষোলো কলা পূর্ণ করে দিয়েছেন৷’’ বলেছেন, ‘‘রাজনীতির বিভেদ ভুলে সামাজিক বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হওয়া উচিত৷ এটাই বাংলার ঐতিহ্য৷’’

কৌশলে সংবাদ মাধ্যমকেও ‘সঠিক’ খবর করার পরামর্শ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের কাণ্ডারী৷ বলেছেন, ‘‘রাজ্যে যে ভ্যাকসিন আসছে, তাও চুরি হয়ে যাচ্ছে৷ কালোবাজারি হচ্ছে৷ হাজারো দুর্নীতির কারবার চলছে৷ সংবাদ মাধ্যমের উচিত কে কার বাড়িতে গেল তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে এই জ্বলন্ত ইস্যুর দিকে নজর দেওয়া৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *