কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচন হতে চলেছে ৩০ সেপ্টেম্বর, আর ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। আজ নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল। আর শেষ দিনেই মারাত্মক বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানালেন, বিরোধী দলনেতার পদ তিনি ছেড়ে দিতে পারেন! তবে অবশ্যই তার জন্য রয়েছে শর্ত। শুভেন্দুর এই ঘোষণায় ভবানীপুর নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত
এদিন ভবানীপুরে প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালের হয়ে প্রচারে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি স্পষ্ট বলেন, ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জিতলে, তাঁকে বিরোধী দলনেতার চেয়ার ছেড়ে দেবেন তিনি! তাঁর কথায়, প্রিয়াঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জিতলেই তিনি শীর্ষ নেতৃত্বকে অনুরোধ করবেন যাতে তাঁর বিরোধী দলনেতার পদ প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি নির্বাচন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেছেন, নন্দীগ্রামে তিনি ছক্কা মেরে ছিলেন আর এবারেও তিনি চাইছেন যাতে ভবানীপুরের মানুষ এই নির্বাচনকেও নন্দীগ্রাম বানান। অর্থাৎ এখানেও যাতে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই আবেদন রাখছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘কুণাল ঘোষের শরীর ভালো নেই, আগে মমতার জয় নিশ্চিত করুন’, পাল্টা খোঁচা লকেটের
একই সঙ্গে এই উপনির্বাচনের কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হননি বা দলবদল করেননি, তাও তিনি পদত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচনে লড়ার। শুভেন্দু বলছেন, করদাতাদের টাকা ব্যয় করে এই নির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে। তাই তাদের উচিত এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৫ কোটি টাকা আদায় করা। বিজেপি বিধায়কের স্পষ্ট কথা, নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেছেন মানে মানুষ তাঁকে পছন্দ করেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। অন্যদিকে, এই নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর ওপর আক্রমণের ঘটনার পর তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে কোনো ভাবেই ভবানীপুরে ভোট হওয়া সম্ভব নয়।