কোলাঘাট: তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই জল্পনা ছড়ায়। এর আগে অনেকবার দলবদলের ইস্যুতে শুভেন্দুকে নিয়ে চর্চা হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এবার ফের একবার দলবদল এর জল্পনার মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোলাঘাট ব্লক বিজয়া সম্মেলনে শুভেচ্ছা জানাতে এসে তিনি বললেন, মানুষের সেবা করার জন্য কোন পদ দরকার হয় না। তাহলে কি তৃণমূলের কোন পদ গুরুত্বপূর্ণ নয় তাঁর কাছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
এর আগে একাধিকবার নিজের পথ হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন শুধু মন্ত্রী পদ রয়েছে তাঁর। আর কিছু মাস পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজয়বার্তায় এই ধরনের মন্তব্য বাংলার রাজনৈতিক মহলের জল্পনা উস্কে দিল বইকি। শুধু এই ইস্যুতে, পরিযায়ী ইস্যুতেও মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রাক্কালে পরিযায়ী ইস্যুতে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। পরে একাধিকবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ চেষ্টা করলেও খুব একটা লাভ হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। একাধিকবার বিরোধীদের আক্রমণ করতে হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি সংযোগ নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সবশেষে সমস্ত বিতরকের অবসান ঘটিয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু একবার ফের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে কিছু একটা ইঙ্গিত হয়তো দিতে চাইলেন তিনি।
এদিন আরো একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন একার দ্বারা কোনো কাজ হয় না, সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। আপাত দৃষ্টিতে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য সাদামাটা হলেও, রাজনৈতিকভাবে দেখতে গেলে তার যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। কারণ সকলেই জানেন, রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকারিতা মূলত একজনের ওপরই নির্ভরশীল। তিনি হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে এই মন্তব্য করে কি তিনি আদতে পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু ইঙ্গিত দিতে চাইছেন? প্রশ্ন এখানেই।