জল্পনার অবসান, অমিত শাহের উপস্থিতিতে ‘গেরুয়া’ হলেন শুভেন্দু অধিকারী

সমস্ত জল্পনা এবং বিতর্কের অবসান।

মেদিনীপুর: সমস্ত জল্পনা এবং বিতর্কের অবসান। অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভা থেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু শুভেন্দু অধিকারী নন, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর থেকে শুরু করে, দশরথ তিরকে, বনশ্রী মাইতি থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সকলেই এদিন গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মঞ্চ থেকে। 

বিগত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নাম না করে বহু বক্তব্য পেশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশেষত ও রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বক্তব্য রেখে পরোক্ষে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে মন্ত্রিত্ব এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি যে বিজেপিতে যোগদান করছেন সে ব্যাপারটা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে তিনি যে একা বিজেপিতে যোগদান করবেন না, তার সঙ্গে আরো অনেক তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী যোগদান করবেন তাও এক কথায় নিশ্চিত ছিল। আজ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের জনসভায় মঞ্চে হল ঠিক তেমনটাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর হাত থেকে বিজেপির গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন মেদিনীপুরের ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারী।
 
তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। যারা দল তৈরি করেছেন, যারা একটু একটু করে দল গঠন করেছেন, তারা আজ গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বরং ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে চিঠিতে শুভেন্দু বলেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ একটি কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের মানুষকে ঠিক করতে হবে তারা কী করবেন এবং কী করবেন না। 

এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে বাংলার মানুষকে উন্নয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের একটা পথ বেছে নিতে হবে যেটা ভবিষ্যতে বাংলার ভবিষ্যৎ গঠন করবে। এই প্রেক্ষিতে চোদামাল কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়নমূলক কাজকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, বিগত বছরগুলোতে শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দলকে ব্যবহার করা হয়েছে, কোনরকম উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। পরিস্থিতি এমন যে এই মুহূর্তে ভোটের আগে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প নিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলা চিঠির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে একদিকে যেমন ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে এত বছর ধরে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য, এর পাশাপাশি সকলকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *