নন্দীগ্রাম: বিরোধীরা প্রথম থেকেই সুর চড়িয়ে এসেছে যে বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। তাদের কাছে সর্ব প্রথমই হল ধর্ম। হিন্দুত্বের প্রচার করে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগও বিজেপির বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তবে বিজেপিও যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করে সেটা প্রত্যক্ষভাবে অস্বীকার করেনি। ভোটের সময় যেভাবে হিন্দু ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলা হয়েছে বা এখনও বলা হয়, তাতে বিরোধীদের বক্তব্য অনেকাংশে প্রমাণিত হয় বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আর এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক যা ঘোষণা করলেন তাতে সেই ধর্ম-তত্ত্বই ফিরে আসে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় প্রত্যেক মন্দিরে বসবে সিসিটিভি ক্যামেরা, মাইকে বাজবে হরিনাম, সংকীর্তন। কেন, তার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ক্যান্সারের কেমো আছে, হিংসার ওষুধ নেই’, নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা থেকেই ডাকেনি, কটাক্ষ শুভেন্দুর
শুভেন্দু জানিয়েছেন, মন্দিরে নাশকতামূলক কাজকর্ম রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, নন্দীগ্রামে অনেক ধর্মের মানুষ বাস করেন। যার ফলে মন্দিরে নাশকতামূলক কাজকর্ম হতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। শুভেন্দু আরও বলেছেন, মন্দিরে মন্দিরে মাইক লাগানো হবে এবং সেখানে চলবে হরিনাম, সংকীর্তন। কিন্তু যাতে শব্দদূষণ না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। এছাড়াও এলাকার ২০ জনকে খোল বিতরণ করেন শুভেন্দু। তারা সকলে জায়গায় জায়গায় সনাতন ধর্মের প্রচার করবেন বলেই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। আজই শুভেন্দুর উপস্থিতিতেই নন্দীগ্রামের ১০টি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নন্দীগ্রামের সব মন্দিরে ক্যামেরা লেগে যাবে বলেই আশাবাদী শুভেন্দু। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে গিয়ে এ সব ঘোষণা করেন তিনি।
এইসব ঘোষণা ছাড়া রাজ্য সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রেড রোডে আয়োজিত রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়া ইস্যুতে তিনি মুখ খোলেন এবং তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা সরকারকে। দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বলেই তাঁকে ডাকা হয়নি অনুষ্ঠানে। স্বাধীনতার পর প্রথম বার কোনও বিরোধী দলনেতা রেড রোডের অনুষ্ঠানে ডাক পাননি।