কলকাতা: কিছু দিন আগেও তাঁরা ছিলেন প্রতিপক্ষ৷ সম্মুখ সমরে শক্তির আস্ফালন দেখানোর কথা বলতেন তাঁরা৷ কিন্তু তৃণূলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘুঁচিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি’তে যেতেই অন্য সুর সৌমিত্র খাঁ’র গলায়৷ তাঁর জয়ের পিছনে শুভেন্দুর হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ৷ তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উঠল একাধিক প্রশ্ন৷ তবে কি তৃণমূল ছাড়ার আগে থেকেই বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন সাংসদ?
আরও পড়ুন-
এদিন নিজের জয়ের জন্য একবারও স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর নাম উল্লেখ করলেন না সৌমিত্র৷ বরং তাঁর জয়ের কৃতিত্ব দিলেন শুভেন্দুকে৷ কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার পরই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি’র যুব মোর্চা সভাপতি৷ যার জেরে তাঁর জয় নিয়েও উঠল প্রশ্ন৷ প্রথম প্রশ্ন হল, তবে কি বিষ্ণুপুরে জেতার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর সাহায্য নিয়েছিলেন সৌমিত্র? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, তবে কি দলত্যাগের আগেই তলেতলে বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন শুভেন্দু? তৃতীয় প্রশ্ন হল, ভোটের আগে কি শুভেন্দু-সৌমিত্র বোঝাপড়া হয়েছিল? চতুর্থ প্রশ্ন হল, নিজের সাংগঠনিক জোড় বলে সৌমিত্রর কি কিছুই নেই? পঞ্চম ও শেষ প্রশ্ন হল, তবে কি সত্যেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন শুভেন্দু?
আরও পড়ুন-
কাঁথির সভা শেষে সৌমিত্র বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল ছাড়ার পর শুভেন্দুদা’কে ফোন করেছিলাম৷ বলেছিলাম, দাদা আপনি বিষ্ণুপুরে প্রচারে আসবেন না৷ শুভেন্দুদা সেই কথা রেখেছিলেন৷ উনি বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে প্রচারে আসেননি৷ সেকারণেই আমি জিততে পেরেছিলাম৷’’ প্রসঙ্গত, গত শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহের মঞ্চে বিজেপি’তে যোগদানের সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় ছিল তাঁর৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে আদালতের নির্দেশে বিষ্ণুপুরে ঢোকার অনুমতি পাননি সৌমিত্র খাঁ৷ সেই সময় সৌমিত্রর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ৷ তাঁর জয়ের নেপথ্যে সুজাতার ভূমিকাই সেই সময় উঠে এসেছিল৷ কিন্তু সুজাতা এখন তৃণমূলের সদস্য৷ তাই তাঁর জয়ের কৃতিত্ব তিনি এদিন শুভেন্দুকেই দিলেন৷