কলকাতা: বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে বসে তৃণমূল কংগ্রেসে কামব্যাক করেছেন সব্যসাচী দত্ত। এই দলবদল নিয়ে যত না বেশি চর্চা তার থেকেও বেশি চর্চা কোথায় দলবদল হয়েছে তা নিয়ে। বিধানসভায় এই ভাবে দলীয় পতাকা ব্যবহার করে দলবদলের ঘটনাকে ‘বিরল’ বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, বিধানসভাকে পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে তৃণমূল যার তীব্র বিরোধিতা তিনি করছেন। একই সঙ্গে এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি।
বিধানসভায় সব্যসাচী দত্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। এই দলবদলের মুহূর্তে তাঁর পাশে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই ইস্যুতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সমস্ত সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে তৃণমূল, বিধানসভার মধ্যে এইভাবে দলীয় যোগদান বিরল ঘটনা। এইভাবে বিধানসভাকে অপমান করা হয়েছে এবং বিধানসভার মর্যাদাহানি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজো শেষ হয়ে যাবার পরেই তিনি এই বিষয়ে আদালতে যাবেন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে রাজ্যপাল এবং বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবে বিজেপি। গোটা ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে তাঁর পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে৷ এর পর ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি৷ দলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার আগে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পৌরসভার পৌর প্রতিনিধি, বিধাননগরের মেয়র, ২০১১ সাল থেকে বিধায়ক পদ সবটাই মমতা দিকে সামনে রেখে পেয়েছি৷ দলের মধ্যে কিছু ভুল বোধাবুঝির জন্য আবেগতাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম৷ আজ মমতাদি, পার্থ দা, ববি দা আমাকে গ্রহণ করলেন৷ আজ থেকে নতুন করে পথ চলা শুরু হল৷’ এর পরেই ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন সব্যসাচী দত্ত৷