কলকাতা: তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সমর্থনে এখন তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তাঁর অনুগামীরাও। সূত্রের খবর আগামীকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর অনুগামীরা এখনো পর্যন্ত দলবদলে দোলাচলে রয়ে গিয়েছেন, কারণ হাতছানি রয়েছে কংগ্রেসেরও! এই অবস্থায় রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে জল্পনা রয়ে গিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত যদি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তার অনুগামীরা আদতে কি করবেন তা নিয়ে এখন দোটানা। কারণ অনেকেই মনে করছেন সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় বিজেপি করে টিকে থাকা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সকলকে নিজেদের ঘরে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই এখন মূলত দড়ি টানাটানি চলছে কংগ্রেস এবং শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের একাংশ কংগ্রেসে ফিরে যেতে চাইছেন, এ ব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের তরফে ও ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। যদি তাই হয় তাহলে বলা যায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পরে লাভ হবে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় পক্ষেরই। এর কারণ একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস সব ভাবে ভাঙনে জর্জরিত হবে, ঠিক তখনই রাজনৈতিক লাভ করে ফেলবে বিজেপি এবং কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতা বিজেপিতে যোগদান করার পাশাপাশি একাধিক তৃণমূল কর্মী যদি কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে সাংগঠনিক দিক থেকে লাভবান হবে দুই রাজনৈতিক দলই।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁর অনেক অনুরাগী ভয় পাবেন দল ছাড়া হয়ে থাকতে। কারণ তারা বুঝে গেছেন, নির্দিষ্ট জেলায় বিজেপি করে বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব হবে না, অন্যদিকে তারা তৃণমূলেও বেশিদিন থাকতে পারবেন না কোণঠাসা হওয়ার ভয়ে। তাই অগত্যা তাদের কাছে একটাই রাস্তা খোলা, কংগ্রেস শিবিরে যোগদান। এইভাবে কংগ্রেসও তাদের ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরাতে পারবে। এইভাবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যে বাংলার রাজনৈতিক মহলে একটা ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। যদিও এই পরিবর্তনের ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের আখেরে কতটা লাভ হবে তা বলবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।