তমলুক: তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর। ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করি এসেই চ্যালেঞ্জ কার্যত গ্রহণ করে জিতেছিলেন শুভেন্দু। আজ তমলুক এর জনসভা থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর ওপেন চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি! হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।
এদিন তমলুকের জনসভা থেকে একদিকে যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন তিনি। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তাঁর বাড়িতে ইতিমধ্যে পদ্ম ফুটে গিয়েছে, রামনবমীর আগে সমস্ত পদ্ম ফুটে যাবে। একই সঙ্গে দাবি করেন, ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তিনি পদ্ম ফোটাবেন! এর পাশাপাশি নারোদা মামলা এবং ঘুষখোর কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ১১ বছর আগে তাঁর কাছে যা ছিল আজও তাই রয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ শব্দ উচ্চারণ করে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ছোট থেকেই চিটিংবাজি শিখেছে সে, চিটিংবাজি করে হাত পাকিয়েছে। এরকম চিটিংবাজি লোক খুব কম আছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু আরও জানান, থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। লালার টাকা কার একাউন্টে ঢুকেছে এদিন এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘ম্যাডাম নারেলা’ কে, সেটাও আস্তে আস্তে প্রকাশ করে দেবেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে তিনি নাকি কাগজে মুড়ে টাকা নিয়েছেন এইরকম ভিডিও নাকি দেখা গেছে, তাহলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়ের কি হবে? একই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় তাঁকে এবং একাধিক বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি নারদ মামলায় ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিয়োগ করেছিল কেডি সিং এমন দাবিও আজ করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, কেডি সিং-কে এই কাজ করতে বলেছিলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো’।