‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকেন’, ‘বেহাল দশা শিক্ষার’, মদন-পার্থকে একহাত শুভেন্দুর

বুধবার রাতে শহীদদের স্মরণে নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে শুরু করেছে।

তমলুক: বুধবার রাতে শহীদদের স্মরণে নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, শুভেন্দু ভয় পেয়েছেন তাই রাতের অন্ধকারে নন্দীগ্রামে আসতে হয়েছে তাঁকে। এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র সকলেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন। এবার তমলুকের জনসভা থেকে তাদের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একহাত নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

এদিন তমলুকের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী মদন মিত্রকে আক্রমণ করে বলেন, উনি সারাদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন, কামারহাটিতে উনার হয়ে প্রচারে কেউ যেতে রাজি হত না। অর্জুন সিংয়ের ছেলের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি, তাঁর এত বড় বড় কথা বলা সাজে না। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁর জন্যই আজ বাংলার শিক্ষার বেহাল অবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একটা প্রকল্পেও সাধারণ মানুষ উপকৃত হননি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন জনসভা থেকে বাম সরকারের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী! তিনি বলেন, বামেদের নীতির ভুল ছিল কিন্তু ওরা অনেক ভালো কাজ করেছে যেটা অস্বীকার করা যায় না। একইসঙ্গে বলেন, বাম নেতৃত্ব সবচেয়ে ভাবে রাজনীতি করেছে এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

এদিন লালগড়ের এক সভামঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, যুধিষ্ঠির সত্যবাদী ছিলেন।‌ তবুও তাকে নরক দর্শন করতে হয়েছিল অল্প মিথ্যে কথা বলার জন্য। এদিকে নিতাই এবং নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। মদন জানাচ্ছেন, নেতাই এবং নন্দীগ্রামের আন্দোলনের জন্য নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব, তেমনটাই বলেছে শুভেন্দু অধিকারী। ‌এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না! পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি অনুমতি চাইছেন মিছিল বের করার। ‌শুভেন্দু অধিকারী যেখানে মিছিল বের করবেন সেখানেই দুটো মিছিল বের করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কথা বলেই শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে মদন মিত্র বলেন, মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে, বাপের বেটা হলে যেন সেই মিছিলের মোকাবিলা করে! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =