তমলুক: জনসভা করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘুষখোর এবং মধুখোর বলে গতকাল তীব্র আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে জনগণের ৬ কোটি টাকা তিনি নিজে নিয়েছেন বলেও অভিষেক অভিযোগ তুলেছেন। এদিন তমলুকে জনসভা করে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন তুললেন, ‘ম্যাডাম নারেলা’ কে, এর উত্তর খুব তাড়াতাড়ি সবাই পেয়ে যাবে।
এদিন শুভেন্দু জানান, থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের একাউন্টে প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। লালার টাকা কার একাউন্টে ঢুকেছে এদিন এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘ম্যাডাম নারেলা’ কে, সেটাও আস্তে আস্তে প্রকাশ করে দেবেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু দাবি করেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো’ ছোট থেকেই চিটিংবাজ। ছোট বয়স থেকে চিটিংবাজী শিখেছে। এদিন শুভেন্দুর সংযোজন, যারা যারা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে জেলে গিয়ে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে, যার পেছনে রয়েছেন ‘তোলাবাজ ভাইপো’। সেই চিঠিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী থেকে শুরু করে বিমান বসুর নাম রয়েছে বলে বলেন তিনি।
এদিন ‘তোলাবাজ ভাইপো’ প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে তিনি নাকি কাগজে মুড়ে টাকা নিয়েছেন এইরকম ভিডিও নাকি দেখা গেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়ের কি হবে? একই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় তাঁকে এবং একাধিক বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও এ দিন অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি নারদ মামলায় ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিয়োগ করেছিল কেডি সিং এমন দাবিও আজ করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, কেডি সিং কে এই কাজ করতে বলেছিলেন ‘তোলাবাজ ভাইপো’। এক্ষেত্রে তিনি কারও দিকে আঙুল তুলেছেন তা বোঝা একেবারেই কঠিন ব্যাপার নয়।