কলকাতা: নারদা মামলায় কাল গোটা রাজ্যে নতুন করে হইচই শুরু হয়েছে। কারণ গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে, বিধায়ক মদন মিত্রকে এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু নারদা কাণ্ডের অন্য দুই অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় কেন গ্রেফতার হলেন না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। একই প্রশ্ন করেছেন খোদ নারদা কর্তা ম্যাথ্যু স্যামুয়েল। এবার এই প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলায় নয়া মোড়। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। তিনি এর আগেই নারদা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। এবার এই বিষয়টিও সেখানে উল্লেখ করলেন অমিতাভ চক্রবর্তী।
সোমবার রাজ্যের চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে, বাংলার কোনও নেতা-মন্ত্রীকে এইভাবে হাত পেতে টাকা নিতে টিভির পর্দায় কেউ কখনও দেখেনি। এইসব অন্য রাজ্যে হয়, বাংলায় হয় না। তাই এই মামলায় যে স্টিং অপারেশন করেছে সে দোষী নাকি যে টাকা নিয়েছে সে, সেই প্রেক্ষিতে বিবেচনা হোক। তবে এবার সেই জনস্বার্থ মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করলেন তিনি। এদিকে জানা গিয়েছে, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় সোমবার নিম্ন আদালতের রায়ের উপরে যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। আজ মামলার আবেদন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল মামলার শুনানি।
নারদা মামলায় গতকাল ৪ জনকে গ্রেফতার করার পর বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু ওই চার জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন সোমবার রাতে স্থগিত হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার ফের ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিন্দম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। হেভিওয়েট নেতাদের আবেদন গৃহীতও হয়েছে হাইকোর্টে। তবে সেটার শুনানিও বুধবার।