কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে এবং যার পরবর্তী সময়ে আরো বেশি হইচই দেখা দিয়েছে। এবার এই ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করে বলছেন, রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুর বক্তব্য, ইচ্ছাকৃতভাবে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারংবার একই জিনিস করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন তাই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আর এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উদ্বৃত করে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও এই বিষয়ে অবগত করেছেন তিনি। আসলে বিএসএফ ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি আবার এক প্রশাসনিক বৈঠকের রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গ্রামে গ্রামে বিএসএফ ঢুকে যাচ্ছে। আদতে তিনি নাগাল্যান্ড ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএসএফ ইস্যু টেনে এই মন্তব্য করেছিলেন। এখানেই ভ্রু কুঁচকাচ্ছে বিজেপি শিবির। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা তাদের নিশানা করে থাকেন যারা দেশ রক্ষা করেন। এক্ষেত্রেও বিএসএফকে অপমান করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রায়গঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, বিএসএফ মাঝে মাঝেই গ্রামে ঢুকে পড়ে। অত্যাচার করারও অভিযোগ আসে। সেই অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন শীতকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছিল তা নিতান্তই ছোট নয়। সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই মমতা আবার নাগাল্যান্ড ইস্যু নিয়ে সকলকে সতর্ক করেন, যাতে ওই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।