খড়দহ: দলবদল করার পর থেকেই আক্রমণাত্মক শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন রোড শো শেষে খড়দহের জনসভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ এখান থেকে ‘পিসি-ভাইপোর সরকার উপড়ে ফেলার হুঙ্কার দিলেন তিনি৷ কয়লা পাচার নিয়ে বিঁধলেন ভাইপোকে৷
আরও পড়ুন- দলবদলের সন্দেহ? পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু অধিকারীর ভাই
এদিন শুভেন্দু বলেন, আসানসোলে বছরের পর বছর কয়লা পাচার চলছে৷ সব গাড়িতে মণ্ডল মার্কা ছাপ, ত্রিশূল মার্কা ছাপ, মহাদেবের ছবি লাগানো আছে৷ এই গাড়ি আটকালেই চালক বা খালাসি এসে এই চিহ্ন দেখিয়ে দেবে৷ তাহলেই বুঝে যাবে এটা ভাতিজার ভেট৷ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে৷ গোটা বাংলায় বালি, কয়লা, গরু পাচার চলছে৷ সব কিছু ছুটিয়ে দেব৷ অমিত শাহ এখন অনেকটা টাইট দিয়ে দিয়েছেন বলেও সুর চড়ান তিনি৷
শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে চাকরি নেই , শিল্প নেই৷ ২০১৪ সাল শেষ এসএসসি নিয়োগ হয়েছে৷ টেট পাশ করলেও চাকরি নেই৷ আশাকর্মীর বেতন নেই৷ আইসিজিএস-এর প্রাপ্য বেতন নেই৷ প্রতিবাদ করলেই বলা হয় ১,০০০ টাকার ভাতা৷ গোটা বাংলাকে রসাতলে নিয়ে গিয়েছে৷ শুভেন্দুর হুঙ্কার, ‘‘পিসি ভাইপোর সরকারটি আর ফিরছে না৷ ’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাইপোর নাম বলিনি, কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে বলছে, আমি কি তোলাবাজ?’’ এখান থেকে কাটমানি সিন্ডিকেট, বুয়ো-ভাতিজা সাফ করতে হবে৷ তৃণমূলকে উপরে ফেলে পদ্ম ফোটাতে হবে৷ আমার লজ্জা হয় ২১ বছর তৃণমূল কংগ্রেস করেছি৷
আরও পড়ুন- আমার বাড়ি পদ্ম হবে, তোমার বাড়িতেও ঢুকব! তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর
তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় ভাইপোর রাগ হয়েছে৷ উনি আমাকে বলেছেন, লজ্জা করেনা? যে বাড়িতে সবাই জোড়া ফুল ছিল, সেখানে পদ্ম ফোটাতে৷’’ এর জবাবে তিনি বলেন, এখনও তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি৷ সবে কুড়ি ফুটেছে৷ এবার পদ্ম ফুটবে৷ আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে৷ আর হরিশ চ্যাটার্জীর বাড়িতে ঢুকে আমি পদ্ম ফোটাব৷’’ অমিতজি বলে গিয়েছেন, ‘ইস বার ২০০ পাড়৷’