সমাবর্তনের আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকে বিক্ষোভ করায় সাসপেন্ড করা হল ৩ পড়ুয়াকে। ছাত্র বিক্ষোভ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে রাশ টানার প্রয়োজন ছিল। মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। পাশাপাশি শাস্তি বহাল থাকবে বলেও সাফ জানিয়ে দিলেন অনুরাধা লোহিয়া।
১০ সেপ্টেম্বর সিপিএম-কংগ্রেসের ডাকা বনধের দিন প্রেসিডেন্সির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। তদন্ত কমিটি ওই দিনের ঘটনায় ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। আন্দোলনকারী ছাত্র সায়ন চক্রবর্তী ও অনীক বৈদ্যকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। পরে, যারা গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁদের একবছর সাসপেন্ড করে তদন্ত কমিটি। সেই মতো সায়ন ও অনীককে ১২ মাস সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু উপাচার্য শাস্তি কমিয়ে ৬ মাসের জন্য তাদের সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছে। আর এতেই একপ্রকার আফশোস ঝরে পড়েছে উপাচার্যের গলায়। কারণ সুপারিশ মেনে যে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল, তা লঘু করেছেন উপাচার্য নিজেই।
১০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় বাইরে থেকেই ফিরতে হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান রেজিস্ট্রার-সহ অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা। এমনকী পরের দিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় নন্দনে। এরপরই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে আন্দোলন-বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া মানে কখনোই তা সীমাহীন নয়, এই বার্তাই পড়ুয়াদের দিতে চাইছেন উপাচার্য। শাস্তি বহাল থাকবেই। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনুরাধা লোহিয়া।
এই প্রথম নয়, একাধিকবার আন্দোলন-বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে প্রেসিডেন্সি। কিন্তু এবারের সমাবর্তনে যা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। এই ধরণের বিক্ষোভ আন্দোলন যে কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়, ৩ পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে সেই কড়া বার্তাই দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একদিকে যখন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ, ঠিক তখনই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্র সংগঠনও। ফের একবার বিক্ষোভে অচল হওয়ার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্সি।