সুশান্ত ঘোষের গাড়িতে হামলা-জুতো, আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম! কড় পদক্ষেপ কমিশনের

সুশান্ত ঘোষের গাড়িতে হামলা-জুতো, আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম! কড় পদক্ষেপ কমিশনের

 

শালবনি: বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণে বেলাগাম অশান্তি৷ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ৷ বোমাবাজি৷ আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম৷ শালবনিতে চরম উত্তেজনা৷ সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে আক্রমণ৷ প্রার্থী ঘিরে তৃণমূলের কর্মীদের ব্যাপক বিক্ষোভ৷ দেওয়া হয় ধাক্কা, দেখানো হয় জুতো৷  সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর৷ সুশান্ত ঘোষকে কঙ্কালকাণ্ডের নায়ক বলে কটাক্ষ তৃণমূল কর্মীদের৷ গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের৷

সুশান্ত ঘোষের উপর হামলায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সুশান্ত ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর৷ অন্যদিকে, শালবনির গুইয়াদহ এলাকায় ৩টি বুথে বসতে দেওয়া হয়নি সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টদের৷ পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুশান্ত ঘোষ গিয়ে এজেন্ট বসান৷

জানা গিয়েছে, সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যম। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে শালবনির সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ জানাচ্ছেন, শালবনির বিভিন্ন বুথে সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টের বসতে দেওয়া হচ্ছেনা এবং তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে একাধিকবার তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে বচসা জড়িয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী। তিনি আরো অভিযোগ করছেন, বাইরে থেকে এজেন্ট নিয়ে এসে বুথে বসানো হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যেই, পটাশপুরে রাতভর বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন পটাশপুর থানার ওসি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে আহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং যার দায় গিয়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের উপর।

মাওবাদী কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই! জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মাওবাদী কায়দায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোট কর্মীর গাড়ি। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। গতকাল রাতে ঝাড়খন্ড সীমান্তের কাছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভোট কর্মীদের একটি গাড়ি বুথের দিক থেকে ফিরছিল ভোট কর্মীদের বুথে নামিয়ে। সেই গাড়িকে থামানোর জন্য বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসে, তাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। গাড়ি থামিয়ে চালককে নিচে নামিয়ে রাসায়নিক ছুড়ে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যতক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় আসে ততক্ষণে পালিয়ে যায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *