শুভেন্দুর খাসতালুকে বামেদের পথ অবরোধ, নেতৃত্বে সূর্যকান্ত

শুভেন্দুর খাসতালুকে বামেদের পথ অবরোধ, নেতৃত্বে সূর্যকান্ত

8280d73320660010a2da28f6e0a2d485

তমলুক: অতি বর্ষণের জেরে কেলেঘাই নদী বাঁধ ভেঙে একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কতজন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কতজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কতজন পাননি, তার বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করুন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভগবানপুরের নতুন রাস্তার মোড় ও মুগবেড়িয়া এলাকায় বামফ্রন্টের ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন্যা ইস্যুতে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে একথা বলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার আটটি ব্লককে বন্যাকবলিত হিসেবে ঘোষণা করা, ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ নানা ইস্যুতে জেলা বামফ্রন্টের ডাকে বৃহস্পতিবার ভগবানপুরের নতুন রাস্তার মোড়, মুগবেড়িয়া সুশীলা মোড় এবং পটাশপুরের বাঙ্গুচক মোড়ে গণ­-অবস্থান এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সূর্যকান্তবাবু সহ সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস, আরএসপির জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সন্ধ্যায় সমাবেশের পর ভগবানপুরকে বন্যাকবলিত হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে বেশ কিছু সময় পথ অবরোধ করেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “বন্যা পীড়িত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের জন্য যেটুকু ত্রাণ এসেছিল সেই ত্রাণ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও দলবাজি করেছে শাসকদলের নেতারা। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ পাননি। এই বন্যা ম্যানমেড।  যাঁরা সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাতেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘উনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন, বলতেন ‘ম্যানমেড’ বন্যা। আমরা এখন বিরোধী দলে আছি, আমরা তো কখনওই বলিনি এটা বলিনি ‘ওমেন ম্যাড’। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্য দেওয়া নিয়ে শাসকদলের যারা দলবাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, আজ কেলেঘাই নদী বাঁধ ভেঙেছে। আগামীদিনে অন্যান্য নদীর বাঁধ ভাঙবে। আমরা বলছি, খেলা মেলা মোচ্ছবে কোটি কোটি টাকা খরচ না করে বাঁধ নির্মাণ, রাস্তাঘাট পুনর্গঠন, সেতু নির্মাণ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দিক সরকার। বন্যায় যাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তার তালিকা শ্বেতপত্র আকারের প্রকাশ করুক সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ সহ সমস্ত বন্যা পীড়িত মানুষকে সরকারি সাহায্য দেওয়া হোক৷” এছাড়াও পটাশপুরে একই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব প্রমুখ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *