কলকাতা: গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এবার ভোট কমতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু তবুও বাংলার মাটিতে ঘাসফুলের ধ্বজা ওড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে এবিপি আনন্দের সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায়। সমীক্ষা অনুযায়ী, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৫৪-১৬২ টি আসন, বিজেপি পাচ্ছে ৯৮-১০৬। এদিকে অন্যান্য দল পেতে পারে ২-৬ টি আসন। ভোট শতাংশের ক্ষেত্রেও তৃণমূল এবং বিজেপি কাছাকাছি থাকবে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ২১১ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার সেই আসন সংখ্যা কত বাংলা নিজেদেরই দখলে রাখতে পারে তৃণমূল। যদিও আসন সংখ্যা এবং ভোট শতাংশ নিম্নমুখী হবে বলে ইঙ্গিত সমীক্ষায়। জনমত সমীক্ষা অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট এবং বিজেপি পাবে ৩৮ শতাংশ। বাম এবং কংগ্রেসের জোটের ১২ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৮ শতাংশ পাবে অন্যান্যরা। এই ইঙ্গিত অনুযায়ী গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ২ শতাংশ ভোট কমবে তৃণমূল কংগ্রেসের। উল্টোদিকে ১০ শতাংশ বাড়বে বিজেপির ভোটের পরিমাণ।
এদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে তৃণমূলের লাভ হবে কিনা সে ব্যাপারে জানা গিয়েছে, ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন লাভ হবে, এদিকে ৩৭ শতাংশ মনে করেন লাভ হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের ফলে কার লাভ হবে, এই প্রশ্নে ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করছেন তৃণমূলের লাভ হবে, ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন বিজেপির লাভ হবে। ১৩ শতাংশ মানুষের কথায় লাভ হবে জোটের।
এদিকে সারোদা এবং নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত করে নেওয়ায় বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ, ভাবমূর্তিতে কিছু এসে যাবে না বলে মনে করছেন ৩০ শতাংশ। এই সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বড় ধাক্কা খেতে চলেছে। ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন তৃণমূল ধাক্কা খাচ্ছে। এদিকে ৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়াতে সমস্যায় পড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়াইয়ে নামছে বিজেপি সুবিধা পাবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ৩৭ শতাংশ সম্মতি জানিয়েছেন। এদিকে ৩৬ শতাংশ দাবি করেছেন তেমন কোনো লাভ হবে না বিজেপির।