supreme court
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা ফিরল কলকাতা হাই কোর্টে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। কাদের চাকরি থাকবে, কাদের থাকবে না, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী ৩মাসের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, নবম, দশম গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি সহ নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে তার সবকটির সমাধান করে ফেলতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, প্রতিটি বিভাগেই গুচ্ছ চাকরি বাতিল করা হয়েছিল৷ সবকটাই ছিল অবৈধ নিয়োগ৷ অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এই নিয়োগ দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিহারী প্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ৷ তখনই এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এবার থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শুনবে কলকাতা হাই কোর্ট৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চই সিদ্ধান্ত নেবে কাদের চাকরি যাবে, কাদের চাকরি থাকবে৷ সেই সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত৷ এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী তথ্য উঠে এসেছে, এদিন তা আদালতকে জানায় সংস্থা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷