মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত শীঘ্রই! এল সুপ্রিম ‘ডেডলাইন’

মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত শীঘ্রই! এল সুপ্রিম ‘ডেডলাইন’

কলকাতা: আজ সুপ্রিম কোর্টে মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে উঠে এল। এবার কি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে? কারণ আজই দেশের শীর্ষ আদালত এই ব্যাপারে ‘ডেডলাইন’ দিয়েছে। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই এই ইস্যুর নিষ্পত্তি করতে হবে।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট মুকুল রায়ের মামলায় জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। আর এই নির্দেশ আসার পরেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে আজ আদালতে তাঁর বিধায়ক পদে থাকার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে যুক্তি দেওয়া হয় যে, মুকুল রায় অন্য রাজনৈতিক দলের মঞ্চে সৌজন্য রক্ষা করতে গিয়েছিলেন! তিনি আদতে দলত্যাগ করেননি। আরও বলা হয়ে যে, বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কৃত করেনি, তাই দলবদলের প্রশ্ন আসছে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্যে তেমন আমল না দিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই এই ইস্যুর নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই তিনি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে ‘যোগ’ দেন। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি। এর আগেও মুকুলের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে, মুকুল রায় কোনও দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগই দেননি।

প্রসঙ্গত, মুকুলের দলবদল নিয়ে এখনও অনেক জল্পনা এবং প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি একাধিকবার এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং সাধারণ মানুষকে অবাক করেছে। যেমন, কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তিনি বলতে পারেন যে তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে। আবার, বলেছিলেন, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হলে তিনিই জিতবেন বিজেপির টিকিটে। তাই তিনি আদতে কী ভাবছেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =