কলকাতা: নারদ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের আবেদনকে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। নারদ কাণ্ডে হলফনামা জমা না নেওয়া সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হল। হলফনামা জমা নেওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন জানানো হবে। আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হলফনামা জমা দেওয়া হবে কিনা আগে তার শুনানি করতে হবে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার হলফনামা জমা দেওয়া হবে কিনা আগে সেই বিষয়ে শুনানি করতে হবে। আবেদনের অগ্রিম কপি ২৮ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। কারণ এই মামলার শুনানি হাইকোর্টে রয়েছে ২৯ তারিখ, তাই তার আগে হলফনামা নিয়ে আবেদন জানাতে হবে। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হলফনামা জমা দিয়েছেন। তবে কলকাতা হাইকোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জানায় যে তাদের হলফনামা নেওয়া হবে না। এর পরেই তাঁরা দুজন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট এই দুজনের আবেদনে মান্যতা দিল।
আরও পড়ুন- শিশু সুরক্ষায় উদ্বিগ্ন রাজ্য, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গঠিত হল ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি
নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ৷ এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদলতে যান তিনি। তবে আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি এই হাইভোল্টেজ মামলা থেকে সরে দাঁড়ান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু৷ নারদ মামলা শুধু নয়, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে যেভাবে জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে সেই মামলার শুনানিও ছিল বিচারপতি হেমেন গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে৷ তবে দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে বিচারপতি পদে থাকায় আগামী দিনে যাতে কোন রকম যাতে কোনও রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণেই এই দুটি মামলা থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি। এই কারণে এই মামলা নিয়ে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনকে মান্যতা দিল।