কলকাতা: ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় স্বস্তিতে শেষ সুফিয়ান৷ তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট৷ এর আগে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান৷ কিন্তু হাইকোর্টে স্বস্তি না মেলায় তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন৷ বুধবার সুফিয়ানের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- ‘শিলিগুড়িতে দিদিই থাক’, বলছে খোদ বিজেপি! ব্যাপারটা কী
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন ৩ মে নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এর আগে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট। কিন্তু সেখানে রক্ষা কবচ না পেয়ে তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। গত ২০ জানুয়ারি এই মামলায় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ সুফিয়ানকে গ্রেফতারির উপর রক্ষাকবচ দেয়।
গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলার ঘটনা ঘটে৷ ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হন দেবব্রত৷ তাঁকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, সব করেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৩ মে মারা যান দেবব্রত মাইতির। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল শেখ সুফিয়ানকে৷ এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের রক্ষাকবচ হারানোর পরই সিবিআই সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা।
আদালতের নির্দেশে খুশি শেখ সুফিয়ান৷ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে তদন্তের কাজে সব রকম সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে৷এই রায়ে আমি খুশি৷ আদালত সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে৷’ উল্লেখ্যস বেশ কিছু শর্তে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে৷