কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমপান পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূল থেকে এখন ৬৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বুধবার সকালেই অন্তত তা স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে। বেলা যত বাড়বে তত হাওয়ার গতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। উপকূলবর্তী এলাকা তো বটেই, গোটা দক্ষিণবঙ্গ এই সুপার সাইক্লোনের প্রবল আঁচ পাবে বলে জানানো হয়েছে। ফলত প্রমাদ গণছে সুন্দরবন। ফের ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা নিয়েই প্রহর গুনছে তারা।
এর আগে আয়লা এবং সাম্প্রতিক কালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রকোপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবন এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি তছনছ তো হয়েছেই, সেই সঙ্গে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বুলবুলের প্রভাবে ম্যানগ্রোভের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। এতেই বিপদের মাত্রা আরও ঘনীভূত হয়েছে। কারণ, এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপকে প্রশমিত করে। এককথায় সুন্দরবন এলাকার মানুষের জন্য ঢাল হিসাবে কাজ করে এসেছে তা। কিন্তু এবার সেই ঢালই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় এবার বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির চোখরাঙানি তো আছেই। সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ। নদীতে বাঁধ দেওয়ার কাজও হচ্ছে না। এমত পরিস্থিতিতে সুপার সাইক্লোন আমপান হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শক্তি সঞ্চয় করে সুন্দরবনে আছড়ে পড়লে কী হবে তা ভেবে দিশেহারা সেখানকার মানুষ। সাধারণত এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সরকারি এবং বেসরকারি ত্রাণ পৌঁছয় উপদ্রুত অঞ্চলে। কিন্তু করোনার জেরে এমনিতেই জনজীবন স্তব্ধ। ত্রাণ কী করে পৌঁছবে বা সরকারি সাহায্য কতটা সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। আপাতত আশঙ্কায় প্রহর গোনা ছাড়া কিছু করার নেই সুন্দরবনের বাসিন্দাদের।
সঠিক খবরের জন্য নজর থাকুক AajBikel.com-এর পাতায়…