কলকাতা: ৩০ তারিখ নির্বাচনের আগে আজ ভবানীপুরে শেষ দিন প্রচারের। আজই সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ হয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি ভবানীপুরে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা৷ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ রীতিমতো হামলা চালিয়ে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয় তৃণমূল সমর্থকরা৷ বন্দুক উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের দেহ রক্ষীদের৷ দিলীপকেও ধাক্কা দেওয়া হয়, লাথি মারা হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভোট প্রচারে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর
ভবানীপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ”ভয়াবহ পরিস্থিতি ভবানীপুরের। বহু আগে থেকে বলছিলাম যে, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। আজ যা দেখলাম, গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনা স্বাস্থ্যকর নয়। দিলীপ ঘোষ এত বড় একটা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, তারকা প্রচারক। তাঁকে এইভাবে লাথি মারা হচ্ছে, ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বয়সটাও তো ভেবে দেখা দরকার। বাংলার সংস্কৃতি অনুযায়ী বয়সে বড় কাউকে পায়ে দিয়ে প্রণাম করা হয়, গায়ে হাত দেওয়া হয় না। আমি অন্তত এই সংস্কৃতি জানি বাংলার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস অপসংস্কৃতি নিয়ে আসছে, যা রাজ্যের জন্য তো বটেই, দেশের জন্য খারাপ।” সুকান্ত আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যদি মনে করেন যে, এই ঘটনা ঠিক, তাহলে বাড়িতে বসে থাকতে পারেন তারা। কিন্তু যদি মনে হয় এটা ভুল, তাহলে তাঁদের উচিত হবে ৩০ তারিখ সকাল সকাল বেরিয়ে ভোট দেওয়া, সঠিক জায়গায় ভোট দেওয়া এবং এই দাম্ভিক মহিলাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে পশ্চিমবঙ্গ তাঁদের পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নয়।
আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণের পর মারধর, শ্রীঘরে অভিযুক্ত
এদিন দিলীপ ঘোষ এলাকায় ঘুরে ঘুরে লিফ্লেট বিলি করছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রচার অটো সেখান দিয়ে যাচ্ছিল৷ সেই অটো থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল৷ চলছিল বিজেপি বিরোধী স্লোগানও৷ সেখানে আবার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছিল করোনার টিকাকরণ৷ দিলীপ ঘোষ ওই টিকা কেন্দ্রে ঢোকেন৷ এর পরেই তৃণমূল কর্মীকে সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনেন৷ তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ৷ রীতিমতো দিলীপ ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি যখন এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ওঠে জয় বাংলা স্লোগান৷