কলকাতা: নারী সুরক্ষা নিয়ে ফের একবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই রাজ্যে নারী সুরক্ষা নেই, মহিলারা নিরাপদ নন। একই সঙ্গে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ নিয়েও খোঁচা দেন তিনি। মন্তব্য করেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে কন্যাশ্রী নিয়ে গলা ফাটান কিন্তু তাঁর রাজ্যেই মহিলারা অসুরক্ষিত।
বঙ্গ বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, বাংলার একাধিক জায়গায় মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন, সম্প্রতি ফালাকাটায় হয়েছে। অধিকাংশ জেলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ধুঁকছে। বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার কথা রাজ্য সরকার ভাবছে না বলেই অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রকল্প নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, এদিকে, তাঁর রাজ্যেই মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন, অত্যাচারিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজেপির যে সমস্ত মহিলা কর্মীরা হিংসার শিকার হয়েছেন তাঁদের কথাও উল্লেখ করেন সুকান্ত। পাশাপাশি রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি যে এখনও অব্যাহত, সেই কথাও আজ ফের মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকাল ট্রেনে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। প্রতি গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর আবেদন জানান হয়েছে এবং মহিলা পুলিশ দেওয়া নিয়েও সওয়াল করা হয়েছে। রেলের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেবে রেল।
অন্যদিকে, সুকান্ত রাজ্যসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদেরও একহাত নেন এদিন। বলেন, খুবই লজ্জার বিষয় যে ১২ জন সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই জন বাংলার মহিলা সাংসদ। এই প্রসঙ্গে, তৃণমূল শিবিরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আসলে, দুর্ব্যবহারের জন্য শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড ১২ জন সাংসদ। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসে ৬, শিবসেনার ২, একজন সিপিআই ও একজন সিপিএম সাংসদ।