কলকাতা: ভোটের আগে ভাঙন ধরেছে তৃণমূলের ঘরে৷ একের পর এক নেতা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছে বিজেপি’র ঘরে৷ শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর সবচেয়ে বেশি আলোড়িত হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি৷ এবার ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম ছুঁলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ ছাত্র নেতা সুজিত শ্যাম৷
আরও পড়ুন- ‘সামনে আসার সাহস নেই, লুকিয়ে আক্রমণ করে’, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তোপ শুভেন্দুর
মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরও তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সুজিতকে৷ এমনকী মুকুলের সঙ্গে তাঁর দিল্লির বাড়িতেই ছিলেন তিনি৷ ফলে মুকুল রায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও যে বিজেপি’তে যোগ দেবেন, সেটা আশ্চর্যের বিষয় নয়৷ বুধবার হেস্টিংসে বিজেপি’র নির্বাচনী দফতরে মুকুল রায়ের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে অভিষেক হল তাঁর৷ এর আগেই গেরুয়া পটভূমিতে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন সুজিত৷ ওই স্টেটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘১৬ বছরের সম্পর্ক ভাঙে ফেলা সহজ নয়। কিন্তু জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন সামনে তাকাতে হয়।’’ ২০০৪ সালে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক সুজিতের। দীর্ঘ ১৬ বছর তৃণমূল শিবিরে ঘর করার পর তিনি এখন রং বদলের খেলায় সামিল৷ সুজিত যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন তৎকালিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়।
২০০৪ সালে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন সুজিত৷ তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে মুনমুন সেনকে জেতানোর পিছনে সুজিতের অবদানের কথা৷ কিন্তু এর পর ক্রমশ দলের মূল স্রোত থেকে সরে যেতে থাকেন তিনি৷ মুনমুন সেনকে জেতানোর নেপথ্য নায়ক ছাত্রনেতা সুজিতকে ণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি তৃণমূল৷ এর পর থেকেই তৃণমূলে বিদ্রোহী তিনি৷
আরও পড়ুন- বিজেপি’র ব্যানারে ভুল ‘গণতন্ত্র’ বানান, বিঁধলেন সোহম
অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলে থাকলেও মুকুল রায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন সুজিত শ্যাম৷ একথা অবশ্য তিনি অস্বীকারও করেননি৷ তাঁর কথায়, ‘‘২০০৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করতে এসেছিলাম৷ কিন্তু এখন আর সেই তৃণমূল নেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারিপাশে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গণহত্যার পর ২৪ মার্চ খোলা চিঠি দিয়ে সিপিএমকে সমর্থন করেছিলেন।’’