সব সুবিধা নিঙড়ে ভোগ করেছে! তৃণমূলী হয়েই পরোক্ষে শুভেন্দুকে আক্রমণ সুজাতার

সৌমিত্র খাঁয়ের সেই স্ত্রী সুজাতা আজ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

 

কলকাতা: একেই হয়তো বলে রাজনীতি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আবহে যাকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে একের পর এক চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে, যাকে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে, অসম্মান করতে, সৌমিত্র খাঁয়ের সেই স্ত্রী সুজাতা আজ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শুধু যোগ দিলেন না, তৃনমূল সদস্য হওয়ার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করলেন। পরোক্ষে সুজাতা স্পষ্ট বললেন, ১০ বছর ধরে সবকিছু ভোগ করেছেন তিনি এখন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী পদের লোভে সেখানে গেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে গেছেন, এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে সুজাতা বলেন, দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে, সব সুবিধা নিঙড়ে নিয়েছে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে সবকিছু দিয়েছিলেন, এরপরেও হয়তো তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। সেই কারণেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সুজাতা আরও বলেন, তিনি হয়তো ভেবেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুঃসময় শুরু হয়েছে, তাই বিজেপিতে গেলে ভালো সময় থাকতে পারবেন। এটা মেনে নিলে,  ভবিষ্যতে বিজেপির খারাপ সময় এলে তিনি যে অন্য দলে যাবেন না তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। এই প্রেক্ষিতে পরোক্ষভাবে সুজাতা ‘সেই ব্যক্তিকে’ ধান্দাবাজ, স্বার্থপর এবং সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেন। 

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সুজাতা আরো দাবি করেন, অনেকেই ভাবছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুঃসময় শুরু হয়েছে। কিন্তু আদতে তা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সু-সময় শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো কত ভালো সময় আসে সেটাই সকলকে দেখতে হবে। এই প্রসঙ্গে আবারো নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, উনি হলেন পাঁচিলে বসে থাকা নেতার মত, যখন যে তাদের সুসময় বুঝবেন সেখানে ঝাঁপ মারবেন। কিন্তু তিনি কখনও দলের সুসময় বা দুঃসময় দেখে কাজ করেন না বলে দাবী সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য হওয়া সুজাতা খাঁয়ের। উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের উপস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =