মালদা: ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারি সঙ্গে শাহের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন একসময়ের বাম বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস৷ এবার গাজল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা দীপালী বিশ্বাস কে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর সদস্য পদ খারিজের জন্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী৷ সিপিএম ত্যাগ করে তৃণমূল, আবার তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেও খাতায় কলমে এখনও সিপিএমএর বিধায়কই রয়ে গিয়েছেন দীপালি বিশ্বাস৷
এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে গাজোল থেকে দিপালী বিশ্বাস সিপিআইএম এর প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ এরপর দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর সদস্য পদ খারিজের জন্য বিধিসম্মত ভাবে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ২০১৬ র ১৮ নভেম্বর আবেদন করা হয়। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি৷ এদিন সুজন আরও বলেন, ৫ বছর মেয়াদী বিধানসভার সদস্য পদের ইতিমধ্যে সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত। অথচ এই সংক্রান্ত বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত ওই বিধায়ীকা যে দলত্যাগ করেছেন তার আনুষঙ্গিক প্রমাণ স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই লোকসভায় দলীয় সদস্য দলত্যাগ করেছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে লোকসভার স্পিকার এর কাছে যথাযথভাবে অভিযোগ জানিয়ে ওই সদস্যের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও রাজ্য বিধানসভায় যে সকল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী পদক্ষেপ করার জন্য শাসকদলের পক্ষ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কোনো আবেদন করা হয় নি বলে সুজন বাবুর দাবি। এদিক এই সমস্ত বিষয়টিকে তিনি দ্বিচারিতা ও অনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করেন।