গায়ের জোড়ে সব কিছু করা যায় না, মাথা নীচু করতেই হল, মোদীকে কটাক্ষ সুজনের

গায়ের জোড়ে সব কিছু করা যায় না, মাথা নীচু করতেই হল, মোদীকে কটাক্ষ সুজনের

কলকাতা:  বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন পাশ হতেই দিল্লির দুয়ারে শুরু হয়েছিল কৃষক আন্দোলন৷ আজ সেই ৩ কৃষি আইন বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কিন্তু এর পরেও সমালোচনার ঝড় থামছে না৷ এই কালা আইন বাতিল করতে কেন এতটা সময় নিলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন তুললেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী। আবার তরুণ নেত্রী ঐশী ঘোষের কথায়,  কে বলল সংগ্রাম করে কিছু পাওয়া যায় না?   

আরও পড়ুন- প্রথম মহিলা ওসি পেল রেল পুলিশ, ভালোবাসা দিয়েই দায়িত্ব সামলাতে চান রুপসীনা

এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন,  ‘‘প্রধানমন্ত্রী আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করলেন৷ কৃষকদের নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আর্জি জানালেন৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, এত সময় লাগল কেন? বেআইনি ভাবেই এই আইন পাশ করা হয়েছিল৷ ঔদ্ধত্য দেখিয়ে এই আইন তো সরকারই এনেছিল৷ প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্ষমতা দেখিয়েই এই আইন পাশ করেছিলেন। কৃষকরা টানা এক বছর আন্দোলন চালিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যত পরাক্রম হও না কেন আন্দোলনের কাছে কেউ নেই।’’

তাঁর কথায় ‘‘এই জয় ঐক্যবদ্ধ কৃষকদের জয়৷ এই জয় কৃষক আন্দোলনের জয়৷ মোদীজির দম্ভের বিরুদ্ধে লড়াই করা কৃষকদের জয়। স্বাধীনতার পর এত বড় কৃষক আন্দোলন এই দেশে হয়নি। আমি সমগ্র আন্দোলনকারী কৃষকদের ও তাঁদের নেতাদের অভিনন্দন জানাই। প্রভাব ও গায়ের জোরে সব কিছু করা যায় না৷ মোদীজিকে আজ মাথা নিচু করতেই হল।’’ 

টুইট করে ঐশী বলেন, ‘কে বলল সংগ্রাম করে কিছু পাওয়া যায় না? প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন৷ এখান থেকে ফিরে যাওয়া উচিত নয়। আমরা যদি একসঙ্গে থাকি তবে আমরাও জিতব।’ আবার সিপিএম নেতা সৃর্যকান্ত মিশ্রর ট্যুইট, ‘ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি কৃষক আন্দোলনের শহীদদের।এই জয় সংযুক্ত কৃষক আন্দোলনের। সংযুক্ত কিষান মোর্চা কে অভিনন্দন। আমাদের রাজ্যের আইনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে কৃষক বিরোধী সংশোধনীগুলিকেও বাতিল করা হোক।’

এদিকে, বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা হতেই দিল্লির বুকে বিলি হচ্ছে আড়াই প্যাঁচের মিষ্টি৷ গুরু নানকের জন্ম দিবসে কৃষি আইন বাতিল হতে শুধু দিল্লি নয়, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত আন্দোলনকারী কৃষিজীবী মানুষ মেতেছেন আনন্দোৎসবে। সেই খবরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন লাল মাটির জেলা বাঁকুড়ার কৃষকরাও৷

শুক্রবার সকালে সিপিআইএম বাঁকুড়া দক্ষিণ এরিয়া কমিটির দ্বিতীয় সম্মেলন শুরুর ঠিক প্রাক মুহূর্তে কৃষি আইন বাতিলের খবর পৌঁছাতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন দলের নেতা কর্মীরা। এবার চারটি কালা শ্রম কোড ও বিদ্যুৎ আইন প্রত্যাহারের দাবিতেও লাগাতার সংগ্রাম চলবে বলেও সিপিআইএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + seventeen =