কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বাম-তৃণমূল তরজা৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাম আমলে যত চাকরি হয়েছে, তার চিরকুট খুঁজে বার করতে হবে৷ সেই মতোই শুরু হল অ্যাকশন৷ বৃহস্পতির বারবেলায় সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেচার প্রকাশ করল তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- ‘কোথাও পালিয়ে যাব না’, আদালতে ৫ মিনিট বলতে চেয়েছিলেন পার্থ, যা বললেন
বুধবার একটি সভায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেছিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আনবে তৃণমূল। পরের দিনই প্রকাশ্যে চলে এল সেই চিঠি৷ তৃণমূল দাবি, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুজন-জায়া। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেজে চাকরি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বেসিক বেতন ছিল মাসে ৫৫ হাজার টাকা। এখন তিনি পেনশন ভোগী৷
এদিন মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটার টুইট করে তৃণমূল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, স্রেফ সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরি হয়েছিল সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর৷ তৃণমূলের টুইটের জবাব দিতে দেরি করেননি সুজন৷ তিনি বলেন, ‘‘বুঝতে পেরেছি ওদের বড্ড লেগেছে। কিন্তু এটা বুঝলাম না যে,এই চিঠি দিয়ে ওরা কী বোঝাতে চাইছে, আমার স্ত্রী তো চাকরি করতেন। নিয়ম মেনেই পেনশন পান। এটা তো জয়েনিং লেটার। সুপারিশপত্র তো নয়। তৃণমূল একটু হোমওয়ার্ক করুক।’’
JOB SCAM exposed!
Mili Chakraborty, wife of former CPI(M) MLA @Sujan_Speak, never cleared any exam but:
🚫Worked at Dinabandhu Andrews College for 34yrs
🚫Retired in 2021 with basic pay of ₹55,000 & enjoys pensionStories of @CPIM_WESTBENGAL‘s gross misuse of power never end! pic.twitter.com/4MqkYmznkW
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 23, 2023
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ১ অগাস্ট গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ক্লার্কের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন মিলি চক্রবর্তী। তাঁর বাবা প্রয়াত শান্তিময় ভট্টাচার্য ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক৷ তৃণমূলের দাবি, বাবা ও স্বামীর সুপারিশেই বিনা পরীক্ষায় কলেজের চাকরি পেয়েছিলেন মিলিদেবী৷
তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে এসেছে যে, বাম জমানায় সিপিএম ক্যাডারদের স্ত্রী, আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। এদিকে সুজনের বক্তব্য, ১৯৮৭ সালের জয়েনিং লেটার যদি অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহলে সবটাই পাওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাক, কাদের কাদের চাকরি হয়েছিল৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর আদালতে ঢোকার আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তিন নেতার নাম নেন৷ তাঁরা হলেন – সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। তাঁরাও যে এই দুর্নীতিতে জড়িত, সেই দাবিও করেন পার্থ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>