কলকাতা: বাম এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতা বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই দলের তরফে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করা হল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একদিকে যেমন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে, এদিকে বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও আক্রমনাত্মক ভূমিকা পালন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি সরাসরি তোপ দেগে বললেন, সরকারি কর্মসূচিকে দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুজনের কথায়, সরকার ভয় পাচ্ছে বলেই সমস্ত আলোচনা বন্ধ করে দিতে চাইছে। সরকারি কর্মসূচিকে দলীয় কর্মসূচিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই সুজনের তোপ, বিধানসভাকে শাসকদলের ইচ্ছামত চালনা করা হচ্ছে। তাই তিনি মনে করিয়ে দেন, বিধানসভা কারুর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এদিকে, বাম এবং কংগ্রেস আসন রফা নিয়েও তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দু’দফার বৈঠকে অধিকাংশ আসন নিয়ে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে দুই দলের। প্রথম ধাপে ৭৭টি আসনে সমঝোতা হয়েছিল, এ দিন নতুন করে ১১৬ টি আসনের সমঝোতা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস লড়বে ৪৮ আসনে এবং বামফ্রন্ট লড়বে ৬৮ আসনে। এদিকে বৈঠকের পর আরও জানা গিয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সভা হতে পারে। সেখানে আসার কথা রয়েছে কংগ্রেস সংসদের রাহুল গান্ধী এবং নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর।
এদিন বৈঠকের পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরও মন্তব্য করেছেন, সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্বৈরাচারীতা বাংলার মানুষের জন্য অভিশাপ, এই অভিশাপ বহন করে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিজেপি এবং ঘাস ফুল। তাই বাংলার মানুষকে এদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের ‘হামলা’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন। জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই খালিস্তানি বা পাকিস্তানি বলা হচ্ছে। সংকীর্ণতার রাজনীতি করছে বিজেপি।
ফাইল ছবি