কলকাতা: রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের ইঙ্গেত দিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমরা বেকারত্ব নিয়ে ওয়াকিবহাল। আমি নিজে যেহেতু ভারতের পার্লামেন্টের তৃণমূল কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা, আমাকে তো অনেক সময় লোকসভার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগদান করতে হয়। সে স্পিকারের আহূত বৈঠকই হোক, প্রধানমন্ত্রীর আহূত বৈঠকই হোক। আমি বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটা কথা এই সর্বদলীয় বৈঠকে বলবার চেষ্টা করি যে দেশের বেকার সমস্যা নিয়ে মূলত ভারতের সংসদে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা আমি এই লোকসভায় ৫ বার বিজয়ী হওয়ার পরও একদিনের জন্যে দেখিনি যে লোকসভায় বেকারত্বের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আকারে আলোচনা হচ্ছে। এই সরকাররের আমলে সে কথা তো সংযুক্তও হয়নি। যেটা আমরা তালিকার মধ্যে রাখি।”
তিনি আরও বলেন, “এমপ্লয়মেন্টের প্রশ্নে, ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে প্রায় সংস্ত রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়ে নানা প্রতিকৃল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাকে এদিয়ে রাখার চেষ্টা করছে এবং যাকে আমরা বলি ‘মনরেগা’- মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারেন্টি অ্যাক্ট, আমরা তার মধ্য দিয়ে ১.৩১ কোটি মহিলাকে কর্মসংস্থান দিয়েছি। তপশিলি মানুষরা কাজ করে ৭৮.৭৫ লক্ষ। যাদের কাছে কোনও রোজগার থাকে না, তাদের কাছে এই ১০০ দিনের কাজের আর্থিক সংগতি ভীষণভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে যে ছোট মাঝারি শিল্প, যার মধ্যে দিয়ে বেকারত্ব দূরীকতরণের একটা প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ এই সরকার গ্রহণ করছে।” এছাড়া কলকারাখানার সংখ্যা বাড়া ও উন্নতির কথা বলেন তিনি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ‘কর্মভূমি’ প্রকল্প চালু করেছেন। বলেন, “আইটি সেক্টর ৩০ হাজার আইটি প্রফেশনলের চাকরি চলে গিয়েছিল। সেখানে ৩৫ হাজারের উপর আমরা সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কর্মসাথী প্রকল্প, স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর প্রকল্প, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকরত্ব দূরীকরণের চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সংগতি তেমন থাকে না যে তার মাধ্যমে সে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা তৈরি করবে। কিন্তু কল্পনাশক্তি, দূরদর্শিকতা এবং যোগ্যতার মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। প্রতিনিয়ত ভাবছেন এই বেকারত্ব দূরীকরণের। কীকীভাবে আমরা বেকার যুবকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।”