কলকাতা: ভারতে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ বইছে। হাওয়ার গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। প্রতিদিন করোনার থাবায় আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ভারতে করোনা সংক্রমনের মারাত্মক পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রবিবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমস্ত রকম বৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকবে।
ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের মধ্যে সাধারণত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সফরে গিয়েছিলেন। দুই দেশের মধ্যে বৈধ ভিসা নিয়ে সীমান্ত পারাপারও অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমনের যে ঝড় উঠেছে তার জেরে আগামী ৯ মে পর্যন্ত সীমান্ত পারাপার বন্ধ করল বাংলাদেশ সরকার। যে সকল বাংলাদেশী বিভিন্ন কারণে এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছেন, তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে এলে তবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে নতুন করে আর কেউ বৈধ ভিসা নিয়ে সীমান্ত পারাপার করতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রবল সমস্যায় পড়েছেন সীমান্ত পারাপারকারী দুই দেশের সাধারণ মানুষ।
সোমবার সকালে বহু বাংলাদেশী মানুষ যারা বিভিন্ন কারণে ভারতে এসেছিলেন তাদের পেট্রোপোল সীমান্তে দেখা যায়। বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের তারা আতঙ্কিত হয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন পেট্রাপোল সীমান্তে। অন্যদিকে ভারত থেকে অনেক মানুষ বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন বেনাপোল সীমান্তে। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ পোর্ট অথরিটি তাদের বেনাপোল সীমান্তের গেটের কাছে আসতে দিচ্ছে না। এই বিষয়ে হরিদাসপুর জোনের চিপ ইমিগ্রেশন অফিসার তরুণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “সীমান্তের গেট বন্ধ আছে। যারা বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এনওসি আনছেন তারাই একমাত্র বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন।” দুই দেশে আটকে পড়া সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশ সরকার হঠাৎ করেই এই নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশিকা জারি করার আগে অন্তত দুই দিন সময় দেওয়া উচিত ছিল।”