কলকাতা: শেষযাত্রায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ একডালিয়া এভারগ্রিনের বাড়ি থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ৷ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাবে তাঁ নশ্বর দেহ৷ তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা তো আছেনই, তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছেন হাজারো অনুরাগী-অনুগামী৷
আরও পড়ুন- বাংলার রাজনীতিতে একটা যুগের অবসান! সুব্রতর স্মৃতিচারণে অরূপ
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের৷ শুক্রবার সকালে ১০টায় রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ৷ ২টো পর্যন্ত সেখানেই শায়িত রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ এর পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ৷ সেখান থেকে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নশ্বর দেহ৷ সেখানে গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে তাঁকে৷
তাঁর শেষ যাত্রায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা৷ ফিরহাদ হাকিম বলেন, সুব্রত দা’কে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এই রাস্তায় বহু আন্দোলন করেছি৷ আর দাদার সঙ্গে হাঁটা হবে না৷ এটাই শেষ যাত্রা৷ সুব্রত দা শ্মশানে যেতে ভয় পেতেন, কোথাও গেলেও একা থাকতে চাইতেন না৷ না হলে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতেন৷ ভূতের ভয় ছিল ওঁর৷ সেই সকল স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে ফিরহাদের৷ তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে বিধানসভায় ছিলেন সুব্রত দা৷ তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখতাম৷ কখন কী কৌশলে বিরোধীদের কুপোকাত করতে হয় হাসির ছলে তা করে দেখাতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷