কলকাতা: চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা, প্রিয়জনের প্রার্থনা সব ব্যর্থ করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে দীপাবলির রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি৷ স্বভাবতই শোকবিহ্বল রাজ্য৷ রাজ্যের রাজনীতিকরাও৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বাংলার বাংলার ডানপন্থী রাজনীতির সোমেন-প্রিয়-সুব্রত রাজনীতির অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
কারণ, সেটা সাতের দশক৷ রাজ্যজুড়ে মাথা চাড়া দেওয়া নকশাল আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম হলেন এই ত্রয়ী৷ জুটি ভেঙে আগে আগেই পাড়ি দিয়েছিলেন বাকি দু’জন৷ এবার না ফেরার দেশে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও৷ স্বভাবতই, শোকাচ্ছন বাংলার রাজনৈতিক আকাশ৷
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর চলে গিয়েছেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি৷ গত বছরের ৩০ জুলাই মরণের অভিসারে যাত্রা করেছেন সোমেন মিত্রও। শেষ স্তম্ভ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ সেই মহীরুহেরও পতন ঘটল দীপাবলীর রাতে৷ ফলে সারা শহর যখন আলোর উৎসবে মেতে সেই সময় বাংলার রাজনীতি হারাল এক আলোকোজ্জ্বল চরিত্রকে।
অথচ ছয়ের দশকের শেষের দিকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু প্রিয়রঞ্জন দাশ্মুন্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের। সেই সময়ের প্রভাবশালী যুব কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর সঙ্গে অটুট বন্ধন তৈরি হয় মফঃস্বল থেকে আসা প্রিয় এবং সুব্রতর। সেই শুরু৷ তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ত্রয়ীর জুটির বন্ধন সেসময় আরও শক্তিশালী হতে দেখেছিল বাংলা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের মত মানুষরা চলে যাওয়াটা মূল্যবোধ ও পরম্পরার যে রাজনীতি সেটায় একটা বড় গ্যাপ তৈরি করে দিল৷