ডানলপ: রবিবার কয়লাকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সরাসরি তাঁর বাসভবনে গিয়ে হাজির হয়েছিল সিবিআই। সোমবার সেই প্রসঙ্গ নিয়েই চুঁচুড়ার ডানলপ মাঠ থেকে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের নাম না নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ, “তোলাবাজ বললেই খুব রাগ হয়? খুব বড় বড় কথা? কাঁচকলা করবে সিবিআই-ইডি? তাহলে কাল কী হল? এখন তো আর দুয়ারে সরকার বলছে না কেউ। এখন বলছে দুয়ারে সিবিআই।”
সোমবার এক মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এসেই তিনি সোজা চলে গিয়েছেন চুঁচুড়ার ডানলপ মাঠে। সেখানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের সভায় অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সভায় উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃবৃন্দরা। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগেই তৃণমূলকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, “আমরা বলেছিলাম থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে টাকা জমিয়েছে, আর মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রীর মেয়েকে এটাও বলতে হবে বিনয় মিশ্রর পাশের বাড়িতে চেতলায় তার চার-চারটে ফ্ল্যাট কী করে!”
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, ভাইপো যাবে শ্রীঘরে। ভাইপোকে এবার শ্রীঘরে যেতেই হবে। আগেরবার ব্যাংককে টাকা জমিয়ে রাখার রশিদটা দেখিয়েছিলাম, এবার লালার ডাইরিটা নিয়ে মাঠে নামব। তৃণমূল সাবধান। বাংলায় এবার আমরাই জিতব।” প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর পর কয়লা পাচারকাণ্ডে সোমবার তার শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের আবাসনেও উপস্থিত হয় ৮ সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধি দল। খোঁজ পাওয়া যায় নতুন তথ্যেরও।