তমলুক: সবেমাত্র মাস দুয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই তিনি একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছেন শাসকদলের অন্দরের নানা কার্যকলাপ নিয়ে। তাই বিজেপিতে তৃণমূলের এই এক সময়ের হেভিওয়েট নেতার কদর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একপ্রকার শীর্ষেই বলা যায়। সেই আবহে এবার ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে ফের এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন গেরুয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশ থেকে স্লোগান ধার করে এ রাজ্যে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথা অনুযায়ী সম্প্রতি যে “খেলা হবে” স্লোগানকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার করেছে শাসকদল তা আদতে বাংলাদেশের। ৪ বছর আগে সে দেশের নারায়ণগঞ্জের সাংসদ সামিম ওসমান এই স্লোগানটি ব্যবহার করেছিলেন। তারপর তা বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছিল ওপার বাংলায়। সেই স্লোগানই একুশের নির্বাচনের আগে টেনে এনেছে তৃণমূল।
এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারী এদিন শাসকদলের “জয় বাংলা” স্লোগানকেও এক হাত নিয়েছেন। ভোট বাজারে এই ধরণের স্লোগান ব্যবহারের মাধ্যমে আদতে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানাতে চাইছে তৃণমূল, এদিন বলেন নন্দীগ্রামের নেতা। বস্তুত, এদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে যে “জয় শ্রী রাম” স্লোগান ব্যবহার করা হয়, তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা হিসেবে “জয় বাংলা” স্লোগান এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “কথার শেষে হোক বা সকালে ঘুম থেকে উঠে, ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করুন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই নীতিকেই এবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
স্লোগান ঘিরে গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি শাসকদল। বিজেপির স্লোগানের পাল্টা হিসেবেই তাঁরা এই স্লোগান সৃষ্টির কথা জানিয়েছে। সম্প্রতি ‘খেলা হবে’ স্লোগানটিও বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলায়। প্রথম বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের গলায় এই স্লোগান শোনা গেলেও পরবর্তীতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও একি ব্যবহার করেছে।