‘চটি চাটা মিডিয়া’, সংবাদ মাধ্যমকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

‘চটি চাটা মিডিয়া’, সংবাদ মাধ্যমকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

বাঁকুড়া: এবার রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষকে নয়, সরাসরি সংবাদমাধ্যমকেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে দলের ‘বিশেষ কার্যকর্তা বৈঠকে’ যোগ দিতে এসে ‘চটি চাটা মিডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেন ‘দলবদলু’ নব্য এই বিজেপি নেতা।

এদিন দলের ‘বিশেষ কার্যকর্তা বৈঠকে’ যোগ দিতে যদুভট্ট মঞ্চে ঢোকার মুখে শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁকে নিয়ে আদালতের রায় প্রসঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কে বলছে? আপনারা চটি চাটা মিডিয়া। এই চিত্রনাট্যের যিনি রুপকার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গিয়ে প্রশ্ন করুন। তিনি উত্তর দিতে পারবেন। এই বলেই যখন আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের ঠেলে ভীতরে ঢুকে যাচ্ছেন তখন পিছনে উল্লসিত কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বণী দিয়ে আসর মাতানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এমনকি দলীয় সভা শুরুর আগে ‘প্রেক্ষাগৃহে’ সাংবাদিকদের ছবি তোলার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি।

প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে ভবানীপুরে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দল ভাবছে।কর্মী-সংগঠকদের নিয়ে সভা হচ্ছে। আমাদের বিজেপি ‘পিসি ভাইপোর লিমিটেড কোম্পানী নয়’ যে পিসি-ভাইপোর একজন দাঁড়িয়ে বলে দেবে কে প্রার্থী হবে। ইডি দপ্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা এজেন্সি বলতে পারবে। তবে বাঁকুড়ায় বালি  আর কয়লায় কি হয়েছে এখানকার মানুষ জানেন।

সদ্য বিজেপিত্যাগী বিধায়ক তন্ময় ঘোষ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই মিটিং করে দেখে নিলাম ‘মদ ব্যবসায়ী তন্ময়’ একা গিয়েছে না সঙ্গে আরও কাউকে নিয়ে গিয়েছে৷ তবে দেখলাম আর কেউ যাননি৷’’ শুভেন্দু এমনটা বললেও মিডিয়াকে ‘চটি চাটা’ বলা প্রসঙ্গে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জল্পনা৷ দলের একাংশ মনে করছেন, মেজাজ হারিয়েই এমনটা বলেছেন শুভেন্দু৷ যদিও এবিষয়ে শুভেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *