নদিয়া: কে জানত ওই দামী ফোনটাই সর্বনাশ ডেকে আনবে! অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র৷ খোয়া গেল প্রায় ৮১ হাজার টাকা। সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া সটলেক পাড়ার।
জানা যায় বাবা পেশায় দিনমজুর, মা গৃহকর্মী । একমাত্র ছেলে মাজদিয়া রেল বাজার হাইস্কুলের ছাত্র। অভাবের সংসার তবু অনলাইনে ক্লাস করার জন্য ছেলেকে একটা দামী স্মার্ট ফোন কিনে দিতে বাধ্য হয় পরিবার। আর এই ফোনই পথে বসায় পরিবারকে। অভিযোগ, ছেলের মোবাইলে ফোন আসে গ্যাস অফিসের নাম করে। ফোনে বলা হয়, গ্যাসের ভর্তুকি টাকা দেওয়া হবে! চাওয়া হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং এটিএম নাম্বার। কিছুক্ষণ পর তার ফোনে একটি ওটিপি ঢুকলে ওটিপি নাম্বারটি দেওয়া হয়। এরপর প্রলোভনকারীরা জানান, তার একাউন্টে টাকা ঢুকবে না, আগে তাকে অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে তারপরেই তার অ্যাকাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা ঢুকবে।
প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে ছেলেটি বাড়ির কাউকেনা জানিয়ে একটি কম্পিউটার সেন্টারে চলে যায় । সেখান থেকেই ঘটে অঘটন৷ পরপর বেশ কয়েকবার টাকা টান্সফার করা হয় প্রলোভনকারীর অ্যাকাউন্টে। মোট ৮১হাজার টাকা ট্রান্সফার করে কম্পিউটার সেন্টারের দোকানদার। এরপর কম্পিউটারের দোকানদার ছেলেটির কাছ থেকে টাকা চাইলে কান্না শুরু করে ছেলেটি। দোকানদার নাবালক ছেলেটিকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে এবং দোকানদারের কাছ থেকে সমস্ত বিষয়টি শোনে৷
পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা চান প্রশাসনের সহযোগিতায় যদি তারা টাকা ফিরে পান তাহলে অভাবের সংসার ধারদেনা করা পরিবারটি আবার নতুন করে বাঁচবে।