আসানসোল: বিপত্তির যে শেষ নেই৷ লকডাউনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থায় কোটা থেকে বাংলার পড়ুয়াদের ফেরানো হলেও বিপত্তি বেধে ঠিকানায়! অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের একাংশ জানেনই না নিজের জেলার নাম! আর তাতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন৷ জেলার নাম না জানা থাকলে কীভাবে তাঁদের ফেরোনা হবে বাড়ি? ঘুম উড়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের৷
খবরে প্রকাশ, নিজের ঠিকানা জানতে কেউ স্মরণাপন্ন হলেন মায়ের, কেউ আবার পরিবারের লোককে ফোন করে জানতে চেয়েছেন জেলার নাম৷ কোনও মতে জেলার নাম সন্ধান পেয়ে আইআইটির প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ কিন্তু, উচ্চ শিক্ষিত পড়ুয়ারা যদি নিজের ঠিকা না বলতে পারেন, নিজের জেলার নাম না জানেন, তাহলে তা বিরল অসুখের সামিল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
শুক্রবার সরকারি ব্যবস্থায় রাজস্থানের কোটা থেকে আনা হয় বাংলার পড়ুয়াদের৷ তাঁদের নিজ নিজ জেলায় পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে গিয়ে চরম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন পশ্চিম বর্ধমানের পুলিশ, প্রশাসনের কর্তা৷ পড়ুয়াদের একাংশকে নিজের জেলায় পাঠাতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের৷ জেলার নাম জানতে চাওয়া হলেই দাত ভাঙছে পড়ুয়াদের একাংশের৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিকল্প প্রশ্নেও ডাহাফেল পড়ুয়াদের একাংশ৷ জেলার নাম জানা না থাকলে কাছাকাছি কোনও বড় শহর বা দর্শনীয় স্থানের নাম তো জানান থাকবে? সেই প্রশ্নেও মেলনি জবাব৷ পরে নিজের জেলার নাম জানতে বাড়িতে ফেন করে তথ্যের সন্ধানও করতে থাকেন পড়ুয়াদের একাংশ৷
রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোটা থেকে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ পশ্চিমে রাজ্যের প্রবেশদ্বার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও দুর্গাপুরে তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিশ্রামেরও ব্যবস্থা করা হয়৷ নিজ নিজ জেলার রেজিস্ট্রেশন করানো হয়৷ তারপর তাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়৷ কিন্তু, নিজের জেলার নাম জানতে চাইতেই পড়ুয়াদের একাংশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়৷ পড়ুয়াদের এই অবস্থা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷ যদিও পরে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়৷