করোনা আহবে পরীক্ষায় ডাক, মমতার দরবারে বাংলার পড়ুয়ারা

অল্পসময়ের নোটিসে এই তলবের জন্য বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রবাসী পড়ুয়ারা। শুধু বাংলা নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে আছেন ওই কলেজের পড়ুয়ারা।

কলকাতা: আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে মেডিক্যাল ও নার্সিং পড়ুয়াদের। এই কারণে পড়ুয়াদের তড়িঘড়ি ডেকে পাঠাল কর্নাটকের একটি মেডিক্যাল ও নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বেশ কিছু পড়ুয়া বাংলার। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষাস্থলে পৌঁছবেন তাঁরা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এই সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করে জানালেন পড়ুয়ারা। 

আরও পড়ুন: এবার বাংলায় হবে ‘গোবর-শিল্প’! ৫ কোটির ব্যবসা করবে কেন্দ্র

 

করোনার জেরে ট্রেন চলছে না দীর্ঘদিন। বিমান চললেও তা হাতে গোনা, আর তার খরচও এখন অনেকটাই বেশি। ফলে অল্পসময়ের নোটিসে এই তলবের জন্য বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রবাসী পড়ুয়ারা। শুধু বাংলা নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে আছেন ওই কলেজের পড়ুয়ারা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের পড়ুয়ারা। কারণ সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা বাগডোগরা বিমানবন্দরের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এদিকে বর্তমানে ওই বিমান বন্দর থেকে সবচেয়ে কম বিমান চলছে। তাঁরাও বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি লিখে তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

 

শুধু যে বিমান সংখ্যা কম এমনটাই নয়, বর্তমানে বিমানের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে অনেকটাই। বাংলার পড়ুয়াদের বক্তব্য, খুব অল্প সময়েই এই জরুরি তলব। আবার যাওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কোনও দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়েছে। ওখানে পৌঁছে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনা টেস্ট রিপোর্টে নেগেটিভ আসলেই পরীক্ষায় বসা যাবে। এক পড়ুয়ার কথায়, যদি বিমানে যেতে গিয়ে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়, তাহলে তার দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নার্সিং-এর ছাত্রী জানিয়েছেন, হোস্টেলে একসঙ্গে থাকাটাও নিরাপদ নয় এখন, শৌচাগারও সেখানে কমন। ক্যান্টিনও একটাই, তাতে স্থানাভাব রয়েছে। 

আরও পড়ুন: ‘আমার পরিবার বিজেপি পরিবার’, রাজ্যে সদস্যসংখ্যা বাড়াতে নয়া উদ্যোগ বিজেপির

আর এক ছাত্রের কথায়, কোয়ারেন্টাইনে থাকার দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না, ফলে প্রত্যেক দিন থাকা-খাওয়া বাবদ ১০০০ টাকা খরচ করা তাঁর মতো অনেকেরই অসুবিধাজনক। তাই পড়ুয়াদের আর্জি এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটক সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের দাবি, সমস্ত বর্ষের পরীক্ষা বাতিল করে এ বছর এমনিই পাশ করিয়ে দেওয়া হোক পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য পরীক্ষা বাতিল করতে পারবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিয়েছে পরীক্ষা না নিয়ে কাউকে পাশ করানো যাবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও সেই হিসাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, পরীক্ষা দিতে কারও অসুবিধা হলে সে এক বছর নষ্ট করতে পারে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =