কলকাতা: বিধাননগর থেকে বারাসত৷ পাশ করানোর দাবিতে আন্দলনে উত্তাল রাজ্য৷ অকৃতকার্য পড়ুয়াদের প্রশ্ন, কিসের মূল্যায়ণের ভিত্তিতে বাকিদের পাশ করানো হল৷ এই দাবিকে কেন্দ্র করেই কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও বা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা৷ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সংক্রমণের গতিতে বাড়তে থাকায় আশঙ্কিত রাজ্য৷ তারই জেরে এবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে তলব করল নবান্ন৷
সূত্রের খবর, তলব পেয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নে হাজির হয়েছেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে মহুয়ার ওই বৈঠকে রয়েছেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনও। উচ্চ মাধ্যমিকে ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে পর্ষদের কোনও গলদ রয়েছি কি না, সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে পর্ষদ সভাপতির কাছে৷ শনিবার এবিষয়ে নবান্নের তরফে চিঠি পাঠানো হয় মহুয়া দাসকে৷ চিঠিতে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে, পরীক্ষা হয়নি, তাহলে কিসের ভিত্তিতে মুল্যায়ন হয়েছে৷ ফেলের মাপকাঠিই বা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এরপরই তড়িঘড়ি নবান্নে হাজির হন মহুয়া।
পর্ষদ সভাপতি এদিন এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও শিক্ষক মহলের একাংশ পরিস্থিতির জন্য দুষেছেন স্কুল গুলিকেই৷ তাঁদের মতে, পড়ুয়াদের চাপে রাখার জন্য অনেক স্কুল একাদশ শ্রেণিতে কিছুটা চেপে নম্বর দেন৷ যাতে পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল করে পড়াশোনা করে৷ অথচ এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না হওয়ায় মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ওই একাদশ শ্রেণির নম্বর যোগ করা হয়৷ শিক্ষক মহলের একাংশের অনুমান সেখানেই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে৷
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। শতকরা পাশের হার ছিল ৯৭.৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ অকৃতকার্য পড়ুয়ার সংখ্যা ২.৩১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। স্বভাবতই ফলাফল সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ এদিন বনগাঁয় অকৃতকার্য পড়ুয়াদের রাস্তা অবরোধ করতেও দেখা যায়৷ হাওড়ার স্কুলে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা৷ মালদহের একটি স্কুলে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায় পড়ুয়াদের৷ স্বভাবতই, জেলায় জেলায় স্কুল পড়ুয়াদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উঠছে প্রশ্ন৷ এরপরই পর্ষদ সভাপতিকে তলব করা হয় নবান্ন৷